মাসুদ আলম :[২] বুধবার ডিবি উত্তরের যুগ্ম-কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, নিজেদের কখনো র্যাব আবার কখনো ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে মাইক্রোবাসে তুলে নিতো একটি চক্র। মূল টার্গেট ছিলো ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যাওয়া অথবা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনকারী ব্যক্তিরা। মঙ্গলবার মোহাম্মদপুর ও মতিঝিল এলাকা থেকে ছিনতাইকারীকে চক্রের ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবির গুলশান বিভাগ।
[৩] তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইমদাদুল শরীফ, খোকন, মাসুদুর রহমান তুহিন, মামুন শিকদার, কমল হোসেন, ওয়াহিদুল ইসলাম, ফারুক বেপারী ও মতিউর রহমান। তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, একটি মাইক্রোবাস, পাঁচ হাজার ইয়াবা, একটি ওয়াকিটকি, একটি ডামি পিস্তল, এক জোড়া হাতকড়া, ট্রাভেল ব্যাগ, দুইটি জ্যাকেট, চারটি নতুন গামছা উদ্ধার করা হয়।
[৪] হারুন অর রশীদ আরও বলেন, হাতে ওয়ারলেস সেট, গায়ে র্যাব, ডিবি ও পুলিশের জ্যাকেট পরা দেখলেই তাদের পুলিশ বা র্যাব মনে করার কোন কারণ নেই। তাদের যাচাই করুন। তারা সত্যিকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কিনা তা নিশ্চিত হয়ে কথা বলুন। প্রয়োজনে নিকটস্থ থানা পুলিশ বা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিন।
[৫] হারুন বলেন, তুলে নেওয়া ব্যক্তিকে কখনো সাভার-আশুলিয়া, কখনো বেড়িবাঁধ, কখনো নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে। এরপর তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও তাদের ডেবিট, ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে হাতিয়ে নিতো। টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে অনুসরণ করে সুবিধাজনক স্থানে পৌঁছার পর তাদের সঙ্গে থাকা ডিবির জ্যাকেট পরে ওই ব্যক্তির গতিরোধ করেন। এসময় ওয়াকিটকি দেখিয়ে নিজেদেরকে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে টার্গেট করা ব্যক্তিকে কোনো একটা অপরাধ করার অজুহাত দেখিয়ে হাতকড়া পরিয়ে তাদের নিজেদের গাড়িতে তুলে নেন।
[৬] তিনি আরও বলেন, গামছা দিয়ে ভুক্তভোগীর চোখ বেঁধে নির্জন স্থানে ফেলে রেখে দিতো। চক্রটির বেশিরভাগ সদস্য ঢাকার বাইরের। তারা ঢাকার বাইরে থেকে এসে কাজ করে আবার চলে যান। তারা কাঁচপুর থেকে মেঘনা পর্যন্ত সড়কটি ব্যবহার করেন ।