মো: সাগর আকন: [২] বরগুনার আমতলী উপজেলায় অস্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চারদিনেও স্কুল ছাত্রীকে না পেয়ে সোমবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে স্কুল ছাত্রীর বাবা।
[৩] ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: হাফিজুর রহমান মামলাটি গ্রহন করে আমতলী থানার ওসিকে এজাহার গ্রহন করার নির্দেশ দিয়েছেন। আসামীরা হল, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার বাদুরা গ্রামের মনির হাওলাদারের ছেলে ইসরাফিল। ইসরাফিলের বাবা মনির মা শাহিনুর ও ভাই শাকিল।
[৪] জানা যায়, আমতলী উপজেলার জনৈক হাচানের মেয়ে একটি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় অস্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। আসামী ইসরাফিল স্কুল ছাত্রীকে পথে ঘাটে উত্ত্যাক্ত করে আসছে। স্কুল ছাত্রীর বাবা নিষেধ করা সত্বেও ইসরাফিল নিভৃত হয়নি। নিত্যদিনের মত স্কুল ছুটটির পর বাড়ীতে আসার পথে বাবুল ঘরামির বাড়ীর পাকা রাস্তার উপর পৌছলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সকল আসামীরা তিনটি মোটর সাইকেলে স্কুল ছাত্রীকে জোর পূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। চারদিনেও স্কুল ছাত্রীর খোজ মিলেনি।
[৫] স্কুল ছাত্রীর বাবা জনৈক হাচান বলেন, আমার মেয়েকে আসামীরা পরিকল্পিত ভাবে অপহরণ করে নিয়েছে। আসামী আমার মেয়েকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে। এমনও হতে পারে আসামীরা আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করতে পারে। অজ্ঞাত একটি ফোন দিয়ে আমাকে বলেছে আপনার মেয়েকে ইসরাফিল আটক রেখে ধর্ষণ করতেছে। আমি আমতলী থানায় ২৪ অক্টোবর মামলা করতে গেলে ওসি মামলা নেয়নি। আমার মেয়ে এখনও আসামীদের কাছে আছে।
[৬] আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শাহ আলম বলেন, এই ঘটনায় আমতলী থানায় কেহ মামলা করতে আসেনি। কেহ মামলা করতে আসলে অবশ্যই মামলা নিতাম। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। তারপরও আদালতের আদেশ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।