বাঁশখালী প্রতিনিধি: [২] চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার মনছুরিয়া এলাকায় পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় ঘটনাস্থলে ১ জন, চমেক হাসপাতালে ১ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জন রক্তাক্ত জখম হয়ে চমেকে প্রেরণ করা হলেও এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানার সামনে এসে এক যুবক বিষপান করেছে।
[৩] বুধবার দুপুরের বাঁশখালী পৌরসভা ও শীলকুপ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মনছুরিয়া বাজারের পাশে রংগিয়াঘোনা এলাকার এই ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় ঘটনাস্থলে নিহত হন আবদুল খালেক (৩৪) পরে চমেক হাসপাতালে মারা যায় সুলতান মাহমুদ টিপু (২৪)। তারা সম্পর্কে আপন চাচা-ভাতিজা।
[৪] এসময় সংঘর্ষে গুরুতর আহত তিনজন হলেন নিহত সুলতান মাহমুদ টিপুর বাবা মো. কামাল উদ্দিন, চাচা মঞ্জুর আলম এবং মো. বাহাদুর। এই ঘটনায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে বাঁশখালী থানা পুলিশ। আটকদের একজনকে নির্দোষ দাবি করে আটকের প্রতিবাদে থানায় এসে বিষপান করেছেন রাসেল ইকবাল নামে এক তরুণ। তিনি আটক মাহমুদ সিদ্দিকের ছেলে। রাসেল ইকবাল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক।
[৫] বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক সঞ্জয় নাথ বলেন, ‘ঘটনার পর গুরুতর আহত পাঁচজন এসেছিলো। তার মধ্যে মধ্যে আবদুল খালেক মৃত ছিল। আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া একই ঘটনার জেরে বিকাল ৪টার দিকে বিষপান করা রাসেল ইকবাল নামে একজনকে নিয়ে আসা হয়। তাকেও গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠনো হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে, ঘটনাস্থলে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
[৬] সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. হুমায়ুন কবিরসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশ পোস্ট মার্ডামের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
[৭] বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল উদ্দীন বলেন, বুধবার পারিবারিক বিরোধের জের মনছুরিয়া রংগিয়াঘোনা এলাকায় দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে হয়। এ সময় ছুরিকাহত হয়ে আব্দুল খালেক নামে একজনের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। সুলতান মাহমুদ টিপু নামে অন্য একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এসময় দুই পক্ষের ৪ জন গুরুতর আহত সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। তিনি আরো বলেন ,ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছি।