আশরাফুল আলম খোকন: পটকা মাছ কমবেশি সবাই চিনেন। এই মাছকে সাধারণত বিষাক্ত মাছ বলে মানুষ খায় না। ছোট সময় মাছ ধরার অভ্যাস ছিলো। অনেক ধরেছি কিন্তু পটকা মাছ ধরিনি। প্রায় দেখতাম নদীর পাড়ে এসে পটকা মাছ আস্তে আস্তে নিজেকে ফুলাতে থাকতো। একটু পানি ছিটা দিলেই চুপসে গিয়ে দৌড়ে পানির মধ্যে চলে যেতো। আর আমরা যদি পানি ছিটা না দিতাম ফুলতে ফুলতে অটো ব্লাস্ট হয়ে মরে যেতো। কারণ এই গর্ধভ মাছটার নিজের ক্যাপাসিটি সম্পর্কে ধারণা নেই।
গল্পটা বলার কারণ হচ্ছে, যদি আপনার বিরুদ্ধে কেউ লাগে তাহলে লাগতে দেন। একদিন অটো বস্ট হবে। কারণ পটকা মাছের মতো বলদটা অটো ব্লাস্ট হয়ে ধ্বংস হবে। শুধু একটা সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বলদ বললাম কেন?
আরে ভাই, বলদ না হলে কেউ নিজের খেয়ে, নিজের পরে অন্যের বিরুদ্ধে সময় ও মেধা নষ্ট করে? বুদ্ধিমান হলে তো নিজেকে গঠন করতো। নিজের দেখা অভিজ্ঞতা থেকে বললাম। আজকে যাদের ‘সাইবার সন্ত্রাসী’ বলা হচ্ছে তাদের অনেকের উত্থানের শুরুর দিকের অন্যতম টার্গেট ছিলাম আমি। কিছু হলেই আমার বিরুদ্ধে বলতো। তারা যখন আমার বিরুদ্ধে বলতো, তখন একটা গ্রপ খুব মজা পেতো। আমিও মজা পেতাম এই ভেবে যে তারা আজকের মজাটা কয়দিন পর টের পাবে। এই ভেবে আমিও ২০১৮ সালের পর এই ‘অনলাইন প্রস্টিটিউট’দের বিরুদ্ধে কিছু বলা বন্ধ করে দিছি। ‘অনলাইন প্রস্টিটিউট’ বললাম কারণ তারা যা করে টাকার বিনিময়ে করে। তাদের মধ্যে আদর্শের লেশমাত্র নেই। টাকা দিলে আপনার পক্ষেও করবে। এখন সব অটো ব্লাস্ট হচ্ছে। তবে আমি মজাও নিচ্ছি না। আর পানি ছিটা আমি কখনোই দিই না। নিজের খেয়ে নিজের মোষ খেদাই। Ashraful Alam Khokan-র ফেসবুক পেজে লেখাটি পড়ন।