সুজিৎ নন্দী: [২] বোধন শেষে সোমবার ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে সূচনা ঘটছে শারদোৎসবের। বাঙালী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। শেষ হবে আগামী ১৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে।
[৩] ঢাকের বাদ্য, শঙ্খ-উলুধ্বনি আর ভক্তকুলের আবাহনের মন্ত্রোচ্চারণে দেবী দুর্গার স্বর্গ থেকে মর্ত্যে আগমন ঘটেছে। ’দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনে’ দুর্গতিনাশিনীর আগমন আনন্দে বিহ্বল সনাতন ধর্মালম্বী মানুষ। প্রতিমা তৈরি শেষ। বাহারি রং চড়েছে প্রতিমার গায়।
[৪] নিপুণ শিল্পী তার তুলির আলতো ছোঁয়ায় জাগিয়ে তুলেছেন মা দুর্গাকে। ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে খুলে যাবে মা দুর্গার স্নিগ্ধ শান্ত চোখ। জেগে উঠবেন দশভুজা। আশীর্বাদ দেবেন মনোবাঞ্ছা নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আসা পূজারীকে। আগামী মঙ্গলবার মহাসপ্তমী।
[৫] রাজধানীতে কেন্দ্রীয় পূজা উৎসব বলে পরিচিত ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পূজামন্ডপে পাঁচদিনের শারদীয় দুর্গোৎসবের সূচনা ঘটবে। পূজার পাশাপাশি ভক্তিমূলক সঙ্গীতানুষ্ঠান, দুস্থদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, স্বেচ্ছায় রক্তদান অুষ্ঠিত হবে।
[৬] রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ পূজামন্ডপে মহাষ্টমী পূজা অনষ্ঠিত হবে। তবে কুমারী পূজা এবার না করার ঘোষনা দিলেও দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে অনুষ্ঠিত হবে।
[৭] রাজারবাগের বরোদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শ্মশান কমিটির মন্ডপে পূজার আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াও দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ হবে। গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে বনানী পূজামন্ডপে পূজার পাঁচদিনই বিশেষ আয়োজন থাকবে।
[৮] এছাড়া রমনা কালীমন্দির ও আনন্দময়ী আশ্রম, জগন্নাথ হল, সিদ্ধেশ্বরী কালীবাড়ী, পুরান ঢাকার অভয়নগর দাস লেনের ভোলানন্দগিরি আশ্রম, রাধিকা বসাক লেন, নরেন্দ্র বসাক লেন, ঢাকেশ্বরীবাড়ী, শাঁখারীবাজারের পান্নিটোলা, টিকাটুলীর প্রণব মঠ, ঠাঁটারীবাজার পঞ্চানন শিব মন্দির, সূত্রাপুরের ঋষিপাড়া গৌতম মন্দির, বনগ্রাম তরুণ সংসদ, ওয়ারী সার্বজনীন পূজা কমিটির মন্ডপ, উত্তর মুশুন্দী, ফরাশগঞ্জ জমিদারবাড়ী, বিহারীলাল জিও মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্ডপে দুর্গোৎসবের ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।