জেরিন আহমেদ:[২] লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার হামছাদী কাজির দিঘীর পাড় আলিম মাদরাসায় বুধবার ক্লাস চলাকালীন সময় এ ঘটনা ঘটেছে। পরে তারা ক্লাস না করেই মাদরাসা থেকে বেরিয়ে যায়।
[৩] সিনিয়র শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির এ কান্ডে ছাত্র ও অভিভাকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার একটি ভিডিও শুক্রবার সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
[৪] মাদরাসার দাখিল শ্রেণির শিক্ষার্থী নাজমুল আলম ও ফজলে রাব্বীসহ কয়েকজন জানায়, ওই দিন তাদের ইংরেজি ক্লাস চলছিল। এ সময় হঠাৎ করে সিনিয়র শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির স্যার কেঁচি দিয়ে আমাদের ৬ ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেয়।
[৫] শুক্রবার মঞ্জুরুল কবির বলেন, ‘দাখিল শ্রেণির সকল ছাত্রকে পরীক্ষার আগের দিন চুল কেটে মাদরাসায় আসতে বলেছি। ছাত্ররা আমার কথার অবাধ্য হওয়ার কারণে কয়েক ছাত্রের চুল কেটে দিয়েছি। আমি ওদেরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ভাবে থাকা ও নীতি-নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়ার জন্যই চুল কেটে দিয়েছি। তবে আমি কাউকে কোন হুমকির কথা বলিনি’।
[৬] বামনী ইউপি চেয়ারম্যান তাফাজ্জল হোসেন মন্সী বলেন, ‘মাদরাসার শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামের আমির হওয়ায় প্রায় সময় ছাত্র-ছাত্রীদের উপর প্রভাব বিস্তার করে। তার ভয়ে ছাত্রতো দূরের কথা অন্য শিক্ষকরাও নিরুপায় বলে আমি জানি’।
[৭] উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরীন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। যদি সত্যতা পাওয়া যায় তা হলে বিধিমোতাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
[৮] এর আগে, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪জন ছাত্রের মাথার চুল কাঁচি দিয়ে কেটে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ