শাহীন খন্দকার: [২] গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আজ বুধবার রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম আরও ১০ টাকা বেড়েছে। আর আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম বেড়েছে পাঁচ টাকা। রাজধানীর কৃষিবাজারসহ বিভিন্ন খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক সাপ্তাহ আগে এই পেঁয়াজ বিক্রি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।
[৩] হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে মোহম্মদপুর কৃষিবাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়ছেন, প্রতি বছর দেশে যে পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয় তা দিয়ে চাহিদা মেটে না। চাহিদার একটি বড় অংশ আমদানি করে মেটাতে হয়। ব্যবসায়িরা বলছেন, বুকিং রেট বাড়ায় দেশে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম বেশি পড়ছে। তবে ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর এই অজুহাত মানতে নারাজ সংশ্লিষ্টরা।
[৪] এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বলেছে, প্রতি বছর দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ২৮ লাখ টন। এরমধ্যে দেশে উৎপাদন হচ্ছে ৩৩ লাখ টন। সংরক্ষণের অভাবসহ বিভিন্ন কারণে ৩০ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হলেও বাকি থাকে ২৩ লাখ টন। আর প্রতি বছর ৮ থেকে ১০ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। ফলে চাহিদার চেয়ে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ সবসময় উদ্বৃত্ত থাকে। তাই হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।
[৫] সূত্র বলেছে, ভারত, মিয়ানমারসহ অন্যান্য যেসব দেশ থেকে বাংলাদেশ পেঁয়াজ আমদানি করে থাকে, সেসব দেশ পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেনি। তার পরেও সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বৃদ্ধির কারণ সিন্ডিকেটের কারসাজি ছাড়া কিছুই নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আপনার মতামত লিখুন :