ভূঁইয়া আশিক রহমান: [২] আমাদের নতুন সময়কে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বাংলাদেশে আগাম নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই, কোনো প্রয়োজন আছে বলেও মনে করি না।
[৩] আমি খুবই আনন্দিত যে বিএনপি জোট ছাড়ছে কিছু কিছু রাজনৈতিক দল।
[৪] আন্দোলন আন্দোলন করে করে বিএনপি নেতারা গলা শুকিয়ে ফেলেছেন! করে ফেলেছেন!
[৫] রাষ্ট্র পরিচালনায় কোনো ধরনের দুর্নীতি, অসঙ্গতি, অব্যবস্থাপনা হয়, তার জন্য সরকার অবশ্যই বিব্রত হয়
[৬] বিএনপি-জামায়াতের দোসররা কখনো বাংলাদেশের ভালো দেখে না
[৭] কোভিড মহাযুদ্ধে আমরা জয়লাভ করবোই, ইনশা আল্লাহ।
[৮] আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতকি দল। সবসময় সব ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি থাকে। সেটা স্থানীয় কিংবা জাতীয় নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের সোয়া দুই বছর আছে সামনে। জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা আত্মস্থ করে তার ওপর ভিত্তি করে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করি। ২০০৯ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা বলেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো, আমরা করেছি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বলেছিলাম, গ্রামকে শহরের মতো করে গড়ে তুলবো। এখন দেশের প্রায় প্রতিটি গ্রাম শহর থেকেও উন্নত হয়েছে!
[৯] ২০২৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহার কী হবে তার জন্য একটা কমিটি গঠিত হবে। এজন্য প্রাথমিকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খানকে। তিনি খুব শিগগিরই কাজ শুরু করবেন। বিভিন্ন বিষয়ে যাদের পর্যাপ্ত জ্ঞান আছে, তারাই থাকবেন এই কমিটিতে।
[১০] নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, অর্থনীতিবিদ, সমাজবিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করবো আমরা। নির্বাচনী ইশতেহারে থাকবেÑ আগামীতে আমরা কী করবো। ২০১৮ সালের নির্বাচনে যে ইশতেহার দিয়েছিলাম, তার কতোটুকু ইতোমধ্যে আমরা অর্জন করেছি, দুটোর কম্পারিজন থাকবে।
[১১] দুই বছর আগে নির্বাচনী প্রস্তুতি কোনোভাবেই আগাম নির্বাচনের পূর্বাভাস নয়। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তিনটি কারণে নির্বাচনী প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রথমত কোভিডের কারণে আমরা সকলেই কিছুটা স্লো হয়ে গিয়েছি। সংগঠন কিছুটা স্লো হয়ে গেছে। মানসিকভাবেও আমরা কিছুটা ধীরগতির হয়ে গেছি। এই দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য সকলকে তিনি সতর্ক করেছেন।
[১২] ২০২২ সালের শেষের দিকে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন। সম্মেলনের মাধ্যমে সমস্ত সাংগঠনিক কমিটিগুলো করতে হবে। ২০২২ সালে আমাদের জাতীয় সম্মেলন এবং ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন। এর মধ্যে অনেকগুলো স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে। এসব কারণেই নেত্রী আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেছেন। স্থানীয় নির্বাচনে যেন আমরা মনোযোগী হই। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সমস্ত সাংগঠনিক কর্মকাÐ শেষ করি।
[১৩] জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যেই আমরা ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কিছু বক্তব্য সংবিধান ও দেশের আইনবিরোধী। নির্বাচন যাতে না হয়, হয়তো তারা একটা গোলমাল করার চেষ্টা করবে। ২০১৪ সালে পেট্রলবোমা ও আগুন সন্ত্রাস আমরা দেখেছি। বিএনপি কী করতে পারে সেটা এখন আমরা জানি। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি কী করেছে সেটাও আমরা দেখেছি। বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমানদের উৎসাহিত করেছিলো তারা। দেশের ৫শ জায়গায় একযোগে বোমা হামলা হয়েছে। ২১ আগস্টের বোমা হামলার কথা ভুলে যায়নি মানুষ। বিশে^র কাছে বাংলাদেশ একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিলো। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিলো কানাডার আদালতে। পরপর তিনবার দুর্নীতিতে বিশ^চ্যাম্পিয়ন হয়ে তারা প্রমাণ করেছিলেন, বিএনপি ও তার নেতারা দুর্নীতিগ্রস্ত।
[১৪] আগাম নির্বাচন কেন হবে? আগাম নির্বাচনের প্রশ্নইবা উঠবে কেন, আগাম নির্বাচনের কোনো পরিস্থিতি বাংলাদেশে নেই। দেশের জনগণ চায় আওয়ামী লীগ সরকার আরও অনেকদিন রাষ্ট্র পরিচালনায় থাকুক। ফলে আগাম নির্বাচন কেন দেবো আমরা? আগাম নির্বাচন কখন হয় যখন কোনো দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তখন। বাংলাদেশ এখন স্থিতিশীল একটি রাষ্ট্র। বিশ্ব বাংলাদেশের উন্নয়নে এতোটাই উৎসাহিত বোধ করছে, পৃথিবীর সকল অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান বলছে, বাংলাদেশ এখন যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে ২০৩০ সালের আগেই বিশে^র ২৩তম অর্থনৈতিক দেশ হবে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আগাম নির্বাচনের প্রশ্ন আসে কী করে। বাংলাদেশে আগাম নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই, কোনো প্রয়োজন আছে বলেও মনে করি না। কারণ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খুব ভালোভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এমনকি কোভিড মহাযুদ্ধেও আমরা জয়লাভ করতে চলেছি ইনশা আল্লাহ। এখনো পর্যন্ত দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা জয়লাভ করবোই।
[১৫] আমি খুবই আনন্দিত যে বিএনপি জোট ছাড়ছে কিছু কিছু রাজনৈতিক দল। বিএনপি বিশদলীয় জোটের কথা বলে। কিন্তু তারা আসলে তিনদল ছিলো। একজন একজন করে বিশদল বানিয়েছে। বিশ দলের সতের দলও জোট ছাড়ছে, কেন? কারণ যে দল বিদেশি নির্দেশনার জন্য বসে থাকে, যে দুর্নীতি ছাড়া অতীতে কিছু করেনি, যে দল সন্ত্রাসীদের সহযোগিতা করেছে, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে সবসময় অবস্থান রেখেছে, বিশ দলের কোনো কোনো দল বুঝতে পেরেছে আমরা ভুল গাড়িতে বসে আছি। ভুল ট্রেনে বসে আছি। ওই জোট ছেড়ে দিলে দেশের জন্য ভালো হবে, জনগণের জন্যও ভালো হবে। তাদের জন্যও ভালো হবে এবং বিএনপির জন্যও ভালো হবে। কারণ তারাও তখন অনুধাবন করবেন, বিদেশ থেকে নির্দেশনা ও দুর্নীতি করে দল চলে না।
[১৬] বিএনপি-জামায়াতের দোসররা কখনো বাংলাদেশের ভালো দেখে না। তারা সবসময় বাংলাদেশকে নিয়ে অসত্য কথা বলে, গুজব রটনায় এবং কীভাবে মানুষের মনোবল নষ্ট করা যায়, কীভাবে বিদেশিদের কাছে হেয়প্রতিপন্ন করা যায় তা নিয়ে কাজ করে। পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়, এমনটিও তো তারা বলেছিলো। পদ্মা সেতু যখন প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পথে তখন তারা বলছেন, এতে নাকি দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে। অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে। তারা বলেছিলেন, পদ্মা সেতুর লোহা-লক্কড় খুলে পড়ে যাবে। এ সমস্ত দল বা মানুষের কথার ওপর ভিত্তি করে আমরা দল ও রাষ্ট্র পরিচালনা করি না। দেশের সাধারণ মানুষ, শিক্ষিত মানুষ, ব্যবসায়ী ও থিঙ্কট্যাংক তাদের সঙ্গে আলোচনা করে মতামত নিয়ে চলি।
[১৭] বিএনপি টিকে আছে সাংবাদিকদের বদন্যতায়। কারণ পত্রিকার বিক্রি বাড়ানোর জন্য আপনারা মির্জা ফখরুল ইসলামের কাছে যান। কিছু উল্টাপাল্টা কথাও শুনতে চান। ফখরুল সাহেবের কথা তার দলের কোনো নেতাও শুনেন না। যদি শুনতো, তাহলে তার একশ আহ্বান একজনও লোকও রাস্তায় নামতো। কিন্তু দৃশ্যত কেউ বেগম জিয়ার জন্য রাস্তায় নামেনি। আন্দোলন আন্দোলন করে করে বিএনপি নেতারা গলা শুকিয়ে ফেলেছেন! কিন্তু আন্দোলনে দলের একজন নেতাও ঘর থেকে বর হননি। কারণ বিএনপি নেতা-কর্মীরাই এখন মনে করেন, বিএনপি বলে কোনো দল নেই। কয়েকজন নেতা আছেন, যারা নিজেদের পদ বাঁচানোর জন্য লন্ডনের নেতার সঙ্গে কথা বলেন।
[১৮] তারেক রহমান রাজনীতির কী জানেন। মুছলেকা নিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন দুর্নীতির সাজা থেকে বাঁচার জন্য। জেনারেল জিয়াউর রহমানের ছেলে বলে তৎকালীন সরকার তাকে ছেড়ে দিয়েছিলো। অন্য কেউ হলে তো ছাড়তো না। তিনি লন্ডনে বসে বসে বিএনপিকে নির্দেশনা দেয়। বিগত নির্বাচনে একই আসনের বিপরীতে দুই-তিনজনের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে তিনজনকে মনোনয়ন দিয়েছেন। বিএনপি জোট থেকে যারা চলে যাচ্ছেন তারা বুদ্ধিমানের কাজ করছেন। তাদের কথা হচ্ছে, ওহী নাজিলের ভিত্তিতে আমরা দল চালাবো না। রাজনীতি করবো না।
[১৯] নির্বাচন কমিশন নিয়ে কিছু অভিযোগ আছে। পৃথিবীর সকল নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেই কিছু না কিছু অভিযোগ থাকে। নির্বাচনে পরাজিত হলে কিছু অভিযোগ তো করেই। সংবিধানের আর্টিকেল ১৫২তে বলা আছে, যখন কোনো পদ্ধতি অনুযায়ী কোনো কিছু হয়, সেই পদ্ধতিটাই তখন একটা আইন হয়ে যায়। ফলে সার্চ কমিটির মাধ্যমে যেভাবে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়, সেটাই একধরনের আইন। নির্বাচনে হেরে গেলে কারও ঘাড়ে একটা দোষ তো দিতেই হবে!
[২০] বাংলাদেশে বহুদলীয় ও মেজরিটির গণতন্ত্র পদ্ধতি আছে। বহুদলীয় গণতন্ত্র দেশে বহু রাজনৈতিক দল আছে। সংসদে বর্তমানে ৮-৯টি রাজনৈতিক দল জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছে। তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে কোনো কোনো কেন্দ্রের ভোট নিয়ে অভিযোগ থাকতে পারে। অভিযোগ করলে নির্বাচন কমিশন তা দেখছে। যেখানে নির্বাচন ভালো হয় না পরে আবারও নির্বাচন হচ্ছে। বিএনপিকে মানুষ কেন ভোট দেবে। আবারও দেশজুড়ে খাম্বা পোঁতার জন্য! পুনরায় বারো ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের জন্য। কমিউনিটি হেলথ্ ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য? পুনরায় বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করার জন্য? বাংলাদেশকে বিশে^ সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য? অসম্ভব। বাংলাদেশের জনগণ বিগত ১০-১২ বছরে অনেক সজাগ হয়েছে। অনেক শিক্ষিত হয়েছে। তারা বিএনপির মতো রাজনৈতিক দলকে চিনে গেছেন। বিএনপি-জামায়াতের ভোট পাওয়ার কোনো অবস্থান আছে বলে মনে হয় না।
[২১] বিএনপি যদি বিদেশ থেকে নির্দেশিত গণতন্ত্র না চান, তাহলে তাদের উচিত সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচিত করা। কারণ তাদের এক নেত্রী এতিমের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আদালতকর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত। আরেক নেতা বিদেশে পলাতক। ফলে তাদের উচিত হবে একজন সঠিক নেতা নির্বাচন করা। তারপর জনগণের কাছে মাফ চাওয়া উচিত অতীতের অপকর্মের জন্য। তাহলে হয়তো জনগণ তাদের দিকে তাকাতে পারে।
[২২] আমরা সারাদেশে একশটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়ন করছি। এতে কলকারখানা গড়ে উঠছে। অবকাঠামোর উন্নয়ন হচ্ছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে ইতোমধ্যে অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। যা নীরবে ঘটছে, যা আমরা দেখছি না। দেশের লাখ লাখ ছেলেমেয়ে ঘরে বসে, ল্যাপটপ ব্যবহার করে দেশ-বিদেশে অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের আরও বেশি সুবিধাপ্রাপ্তি আমরা নিশ্চিত করতে চাই। এ কারণেই আমরা ৪-জি নেটওয়ার্ক থেকে ৫-জিতে যাচ্ছি। ৫-জিতে গেলে আরও বেশি মানুষ ঘরে বসে বিদেশি কাজ নিতে পারবে।
[২৩] রাষ্ট্র পরিচালনায় কোনো ধরনের দুর্নীতি, অসঙ্গতি, অব্যবস্থাপনা হয়, তার জন্য সরকার অবশ্যই বিব্রত হয়। বিগত দিনে, কোভিডের সময় কিংবা সাম্প্রতিক সময়ে ই-কমার্সের মতো ঘটনাগুলোর জন্য সরকার বিব্রত। তবে প্রতিটি অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আইন অনুযায়ী তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও অ্যাকশন নিতে সরকার দ্বিধা করেনি।
[২৪] চৌদ্দদলের মাঝেমধ্যে মিটিং হয়। আমির হোসেন আমু এর কো-অর্ডিনেটর। তবে আমাদের সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ডে কিছুটা স্থবিরতা আছে কোভিডের কারণে। চৌদ্দদলীয় নেতাদের বেশির ভাগেরই বয়স ষাটের ওপরে। সেসব কারণে হয়তো জোটের কর্মকান্ডের কিছুটা স্থবিরতা দেখা গেছে। আমার মনে হয়, আগামী কিছুদিনের মধ্যে আবারও সক্রিয় হবে জোটের রাজনৈতিক কর্মকান্ড।
[২৫] চৌদ্দদলীয় জোট আদর্শিক জোট নয়, রাজনৈতিক ও নির্বাচনী জোট। কারণ চৌদ্দ দল মনে করে, বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেজন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করছি। অন্য কোনো রাজনৈতিক দল, যাদের সঙ্গে আমাদের আদর্শিক মিল আছে, প্রগতি, উন্নতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বা স করে আমাদের জোটে আসতে চাইলে, অবশ্যই বিবেচনা করা হবে। এই মুহূর্তে চৌদ্দদলীয় জোট সম্প্রসারণের কোনো প্রয়োজন নেই।