শিরোনাম
◈ বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ কর‌লো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও কেন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হলো না?  ◈ নূর ভাই বেঁচে আছেন, সে বেঁচে থাকা মৃত‍্যুর চেয়ে একটু ভালো: অভিনেতা আফজাল হোসেন ◈ দক্ষ জনশক্তি ও টেকসই উন্নয়নে সমবায় খাত গুরুত্বপূর্ণ: প্রধান উপদেষ্টা ◈ শনিবার খুলছে সেন্টমার্টিনের দ্বার, জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা ◈ কথা সত্য, সাকিবের মতো চোর-চোট্টা, ডাকাত ক্রিকেটার ১০০ বছরেও আর আসবে না: প্রেস সচিব ◈ ঐক্য নষ্ট হলে প্রত্যাবর্তন ফ্যাসিবাদের, খেসারত দিকে রাজনীতিবিদদের   ◈ জীবিত হাসিনার চেয়ে মৃত হাসিনা বেশি শক্তিশালী: গোলাম মাওলা রনি ◈ ভারতকে হা‌রি‌য়ে সি‌রি‌জে ২-০‌তে এ‌গি‌য়ে গে‌লো অস্ট্রেলিয়া ◈ গণভোট নির্বাচনের আগে না পরে—এখনো জানা যায়নি: নির্বাচন কমিশনার

প্রকাশিত : ০৫ অক্টোবর, ২০২১, ০৩:৩৫ রাত
আপডেট : ০৫ অক্টোবর, ২০২১, ০৩:৩৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হাসিন হায়দার: বাংলাদেশে এখনকার বেশিরভাগ বিয়ে, প্রেম মানেই লিটারেলি নরকে স্বেচ্ছায় নিজেকে নির্বাসিত করা!

হাসিন হায়দার: বাংলাদেশে এখনকার বেশিরভাগ বিয়ে/প্রেম মানেই লিটারেলি একটা নরকে স্বেচ্ছায় নিজেকে নির্বাসিত করা। বেশিরভাগ জায়গাতেই দেখবেন দুইজনের মাঝে যে একটা সম্মানজনক সম্পর্ক থাকার কথা সেইটা আর নেই, খুব খুব খুব কম ক্ষেত্রেই রেসপেক্ট করা হয়। হয় স্বামী, নয়তো স্ত্রী, হয় বয়ফ্রেন্ড নয়তো গার্লফ্রেন্ড কেউ না কেউ সুপার পজেটিভ হয়ে যায়। পার্টনার তার অপোজিট জেন্ডারের কারো বিষয়ে প্রশংসা করতে পারবে না, তাদের ড্রেস বা গেটাপ/মেকাপ/লুক-এন্ড-ফিল নিয়ে কথা বলতে পারবে না, কারো সঙ্গে কমিউনিকেট করতে পারবে না এ রকম অশান্তি চলতেই আছে। সঙ্গে ফ্রি হিসেবে দিনের পর দিন সন্দেহ, পুরোই সাফোকেটিং একটা অবস্থা। পার্সোনালি নিয়েন না আপনি বা আপনার পার্টনার হয়তো এ রকম নয়, কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখেন অন্তত ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে দুইজনের সম্পর্ক পুরোই বিষাক্ত অবস্থায় চলে গেছে। বিয়ন্ড রিপেয়ার এসব সম্পর্ক আর ফিক্সড বা রিপেয়ার করার পর্যায়ে নেই। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এ রকম বিষাক্ত অবস্থায়ও জাস্ট সন্তানের বা ফ্যামিলির বা লোকলজ্জার খাতিরে

এরপরেও দুইজনে স্টিল একসঙ্গে থাকে নিজের বাকি জীবনটার সমস্ত আনন্দ, শারীরিক চাহিদা এবং মানসিক সুখশান্তি বিসর্জন দিয়ে।
আবার দেখবেন একটা ছেলে এবং মেয়ে হয়তো নিজেদের রিলেশন নিয়ে সুখে-শান্তিতে আছে, কিন্তু তাদের বাবা, মা, ভাইবোন, আত্মীয়-স্বজন কন্টিনিউয়াসলি নাক গলিয়ে তাদের সম্পর্কটাকে পুরো বিষাক্ত বানিয়ে দিচ্ছে দিনের পর দিন। সবাই অন্যদের সামনে নিজেদের সুখী দেখানোর অভিনয় করে যাচ্ছে। যেই দম্পতি সবার সামনে আদর্শ বা আইডল, দেখবেন রাতের অন্ধকারে বা দিনের একাকী সময়ে সেই দম্পতির কেউ না কেউ চোখের পানি ফেলছে একা একা, বা দুইজনেই। অঞ্জন দত্তের একটা গানের লাইনের কথা মনে পড়ে যায় বারবার; ‘চারটে দেয়াল মানেই নয়কো ঘর, নিজের ঘরেও অনেক মানুষ পর। তখন কীসের টানে মানুষ পায় যে খুঁজে বাঁচার মানে, ঝাপসা চোখে দেখা এই শহর’

টাকাপয়সার কথা বাদ দেন। দুইদিনের এই জীবনে যদি মনের শান্তিই না থাকে আর যদি কান্নাকাটি করতেই ব্যস্ত থাকতে হয় তা হলে আর কেমনে কী। পারলে সারাজীবন সিঙ্গেল থাকেন, নিজের মতো থাকেন, নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকেন সেটাই সবচেয়ে ভালো ডিসিশন। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়