মহসীন কবির: [২] সোমবার (৪ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন। ডিবিসি টিভি
[৩] বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অনুমোদনের কথা জানান। সংশোধিত আইন অনুযায়ী, পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। পৌরসভার ‘সচিব’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা’ করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। ৫ বছরে পৌরসভার মেয়াদ শেষে প্রশাসক নিয়োগ, ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন।
[৪] ৫ বছরে পৌরসভার মেয়াদ শেষে প্রশাসক নিয়োগ, ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন। বিদ্যমান ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন-২০০৯’ এ পৌরসভা গঠন হওয়ার পর নির্বাচনের আগ পর্যন্ত প্রশাসক নিয়োগের সুযোগ আছে। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নির্বাচন না হলে আগের মেয়র ও কাউন্সিলররা দায়িত্বে থাকেন।
[৫] এখন আইন সংশোধনে মন্ত্রিসভার সায় পাওয়ার পর নতুন বা পুরনো যে কোনো পৌরসভায় নির্বাচনসংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হলে প্রশাসক নিয়োগের সুযোগ তৈরি হলো। বিদ্যমান আইনের সুযোগ নিয়ে অনেক এলাকার পৌর মেয়ররা নির্বাচিত মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নিজেদের লোকজন দিয়ে বিভিন্ন উপলক্ষ্যে আদালতে মামলা ঠুকে দেন। এতে মামলা নিষ্পত্তির আগে পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ থাকে না।
[৬] আর মামলা বছরের পর বছর চলার সুযোগে আগের মেয়রই দায়িত্ব পালন করেন। এমন সমস্যা থেকে উত্তরণে পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আইনটি পাস হলে পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে। উল্লিখিত জটিলতার কারণে হবিগঞ্জের আজমেরীগঞ্জ পৌরসভায় প্রায় দেড়যুগ নির্বাচন হচ্ছে না। ২০০৪ সালের ২১ জানুয়ারি আজমেরীগঞ্জকে পৌরসভা ঘোষণা করে সরকার।