খালিদ আহমেদ: [২] ৭৭ বছর বয়সী এই লেখক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আজ শুক্রবার (০১ অক্টোবর) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।
[৩] বাংলা একাডেমির জনসংযোগ কর্মকর্তা পিয়াস মজিদ এ তথ্য জানিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন লেখক, গবেষক ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ খান।
[৪] বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা কাজী জাহিদুল হক জানান, এর মধ্যেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়লে গত সপ্তাহে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
[৫] সকাল সাড়ে ১০টায় জানাজা শেষে মিরপুর ১১ নম্বরের জান্নাতুল মাওয়া কবরস্থানে ফরহাদ খানকে দাফন করা হয়। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদাও জানাজায় উপস্থিত ছিলেন।
[৬] বাংলা একাডেমির সাবেক পরিচালক ফরহাদ খান ১৯৪৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
[৭] রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে বাংলায় লেখাপড়া করে ১৯৭০ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী কলেজে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিন বছর পরই তিনি বাংলা একাডেমিতে যোগ দেওয়ার পর ভাষা-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও পত্রিকা বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ সালে তিনি পরিচালক হিসেবে অবসরে যান।
[৮] জার্মানির ডয়েচে ভেলের বেতার বিভাগেও তিন বছর কাজ করেছেন তিনি।
[৯] প্রতীচ্য পুরাণ, বাংলা শব্দের উৎস অভিধান, চিত্র ও বিচিত্র, হারিয়ে যাওয়া হরফের কাহিনী, শব্দের চালচিত্র, নীল বিদ্রোহ, বাঙালির বিবিধ বিলাস তার প্রকাশিত বই। বাংলা একাডেমি ছোটদের অভিধানসহ কয়েকটি বইয়ের সম্পাদনার কাজেও তিনি যুক্ত ছিলেন।
[১০] প্রবন্ধ সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৯ সালে ‘সাহিত্যিক মোহম্মদ বরকতুল্লাহ প্রবন্ধ সাহিত্য পুরস্কার’ পান ফরহাদ খান।
আপনার মতামত লিখুন :