অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় আরও ১৫টি আসন বাড়ানো হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে এবার পাঁচটি ইউনিটে মোট ৭ হাজার ১৪৮ জন শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন। ভারতে অনেকগুলো আইআইটি আছে এর মধ্যে সেরা আইআইটি হলো আইআইটি-মাদ্রাজ। সেই প্রতিষ্ঠানটির মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা হলো ১,৭২৬ জন। আর আমরা ১ বছরেই শুধু অনার্সই ৭১৪৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করি। এই ১,৭২৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠানটির চলমান বাজেট প্রায় ১ হাজার কোটি রুপি বা প্রায় ১,২০০ কোটি টাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা হলো ৩৫ হাজারের মতো যা আইআইটি-মাদ্রাজের ২০ গুণেরও বেশি। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট কতো জানেন? বড়জোর ৮০০ কোটি টাকা। পার্থক্য বুঝতে পারছেন?
এই স্বল্প বাজেট দিয়ে পড়াশোনা হবে? গবেষণা হবে? শিক্ষার্থীরা ভালো মানের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হবে? এখানে গণরুম হবে নাতো কী হবে? সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত। বাংলাদেশের শিক্ষার সবকিছু অপরিকল্পিত। আর জানেনকি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংখ্যা কতো? ২৮ লাখেরও বেশি। পৃথিবীতে দ্বিতীয় আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় পাবেন না। কোনো প্রকার মান বজায় না রেখে অপরিকল্পিতভাবে যা ইচ্ছে করে চলেছি। শিক্ষার মান নিয়ে সরকার কিংবা প্রশাসনের কারও কোনো প্রকার চিন্তা নেই। সার্টিফিকেট দিয়ে মুখ বন্ধ রাখাই যেন মূল উদ্যেশ্য। লেখক : শিক্ষক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়