নিউজ ডেস্ক : অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। পরীক্ষা দেওয়ার পরও যাদের লাইসেন্স নানা জটিলতায় আটকে ছিল তাদেরও বায়োমেট্রিক কার্যক্রম শুরু করেছে মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স। তবে সেবাপ্রত্যাশীদের অভিযোগ, এ প্রক্রিয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এদিকে আটকে থাকা সাড়ে ১২ লাখ লাইসেন্সের প্রিন্ট আগামী মাস থেকে শুরু করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সময়টিভি
কোনো প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের হাতে তুলে দিবে লাইসেন্স সেই চুক্তি নিয়েই আটকে ছিল বিআরটিএ। তবে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সেই কাজ শুরু করেছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স। রাজধানীর পল্লবীতে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার মানুষের বায়োমেট্রিক করছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ বায়োমেট্রিক দিতে গাজীপুর থেকে এ পযর্ন্ত তিন দফায় রাজধানীর পল্লবীতে এসেছেন আবির হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তার মতো বিভিন্ন জেলা থেকে যারা এসেছেন তাদের সবারই অভিযোগ সময়ের দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে।
আবির হোসেন জানান, প্রথম সময় দিয়েছে সকাল ১০টা পরে ১১টা এরপরে আবার ১২ এভাবে সময় বাড়াতে থাকে।
আরেকজন জানান, আমার আগের কার্ডটা রিনিউ করে নিয়ে আসতে, এ মেসেজটা যদি মোবাইল ফোনে দিত তাহলে আমি সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এখানে এসে অপেক্ষা করতাম না।
তবে মাদ্রাজ প্রিন্টার্সের দাবি, ইতোমধ্যে সারা দেশে স্থাপন হয়ে গেছে ৬৯টি বায়োমেট্রিক মেশিন। তবে জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে যাদের পাসপোর্টের তথ্যের মিল নেই, সেসব গ্রাহকের লাইসেন্স নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।
মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্সের মানবসম্পদ কর্মকর্তা আশরাফ বিন মোস্তফা বলেন, তাদের তথ্য যাচাইবাছাই করার সময় অনেক গরমিল পাওয়া যায়, তখন কি করা হয়, আবার তাদের ঠিক করে আনতে বলা হয়। এনআইডি ভুল থাকলে আবার তাদের অনুরোধ করা হচ্ছে সেটা ঠিক করে আনতে।
বিআরটিএ বলছে, আগামী অক্টোবর থেকে আটকে থাকা ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড ছাপার কাজ শুরু করবে সেনাবাহিনীর বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি। আগামী ছয় মাসের মধ্যে আটকে থাকা ১২ লাখ ৪৫ হাজার ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহের কাজ শেষ করবে তারা।
বিআরটিএর রোড সেফটির পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব ই রাব্বানী বলেন, পুরাতন যে লাইসেন্সগুলো পড়ে ছিল প্রায় ১২ লাখের অধিক, সেখানে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করে দিয়েছে। আগামী মাস থেকে কার্ড প্রিন্টিংয়ে চলে যাবে। অথাৎ লাইসেন্স পাওয়া নিয়ে যে সমস্যা ছিল সেটি আর থাকছে না।
বিআরটিএর টেন্ডার জটিলতায় দেশজুড়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান বন্ধ ছিল ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে।
আপনার মতামত লিখুন :