এম মাছুম বিল্লাহ: [২] বাংলাদেশের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে নানাভাবে। কৃষিক্ষেত্রও এর মধ্যে রয়েছে। তবে আশার কথা, এই প্রভাব মোকাবিলায় সক্ষম কিছু ধানের জাত উদ্ভাবনের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, ব্রি-র মহাপরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস।
[৩] বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে যেখানে জমিতে লবণের পরিমাণ বেশি সেখানে রোপা আমন মৌসুমে ব্রি ধান-৪০, ব্রি ধান-৪১, ব্রি ধান-৫৩ ও ব্রি ধান-৫৪- এই চারটি জাত বেশ কার্যকর। লবণাক্ত পরিবেশে জন্মানোর জন্য বোরো ধানের জাতের মধ্যে রয়েছে ব্রি ধান-৪৭ এবং ব্রি ধান-৬১।
[৪] খরা মোকাবিলায় সক্ষম দুটো উন্নত জাত হলো ব্রি ধান-৫৬ এবং ব্রি ধান-৫৭- দুটোই রোপা আমন ধানের জাত। ব্রি মহাপরিচালক ‘আরও কিছু নতুন জাত আমাদের হাতে আছে যেগুলো খরায় আরও ভালো করবে।’
[৫] ড. বিশ্বাস বলেন, রোপা আমন মৌসুমে আরেকটি পরিস্থিতি তৈরি হয় যখন ধান লাগানোর পরে দেখা যায় যে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে হঠাৎ করেই পানির নীচে ডুবে যায়। ‘এই অবস্থা প্রায় সপ্তাহখানেক বা তারও বেশি সময় ধরে থাকে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রয়েছে ব্রি ধান-৫১ ও ব্রি ধান-৫২।’
[৬] অতি ঠান্ডা, অতি গরমের জন্য এখনো কোনো ভালো জাত নেই। তবে ব্রি মহাপরিচালক বলেছেন, ‘গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে এবং আমরা আশা করি, অদূর ভবিষ্যতে এমন ধানের জাত আমরা হাতে পেয়ে যাব।’
[৭] সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে কৃষকদের ব্রি উদ্ভাবিত এসব জাত সম্পর্কে জানানো হয়।
আপনার মতামত লিখুন :