জাহিদুল কবীর : [২] যশোরের মণিরামপুরে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও প্রতারণামূলক ভাবে তিন লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় জিএম বাবুকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত এর আগে বাবুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করে আদালত।
[৩] সোমবার ২৭ সেপ্টেম্বর মামলার ধার্যদিনে বাবু আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালে বিচারক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নিলুফার শিরীন আসামির জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামি বাবু মণিরামপুর উপজেলার হানুয়ার গ্রামের কলেজপাড়ার মৃত ইরফান আলী গাজীর ছেলে।
[৪] মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী সুব্রত ব্যানার্জী জানান, ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ মনোহরপুর গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী ধর্ষণ ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তিনলাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন। বাদীর স্বামী বিদেশ থাকা কালীন বাদীর স্বামীর বাড়ি ভোগদখলের সময় সমস্যার সম্মখিন হন।
[৫] এ সময় জিএমবাবু বাদীকে দেকভালের জন্য নিয়মিত বাড়িতে যাতায়াত করতে থাকে। এক পর্যায় বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এছাড়াও জমি জমা সমস্যা সমাধানের জন্য আদালতে মামলা করার নামে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলেও অভিযোগ করা হয়।
[৬] মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। পরে পিবিআইয়ের উপ পুলিশ পরিদর্শক রেজোয়ান মামলাটি তদন্ত করে সতত্যা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর বাবুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি হয়। সোমবার মামলার ধার্য তারিখে বাবু জামিন আবেদন জানালে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
[৭] উল্লেখ্য, এছাড়াও ২০২০ সালের ৫ মার্চ এক শিক্ষিকা বাদী হয়ে জিএম বাবুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একই আদালতে মামলা করেছিলেন। অভিযোগ করা হয় বাদীকে বিয়ে করার জন্য নানা ধরনের প্রলোভন দেখায় বাবু। বাদী তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়লে বাদীর সাথে বাবু শারীরিক সম্পর্ক করে। একই সাথে বাবু বিভিন্ন সময় বাদীর কাছ থেকে প্রতারণামূলকভাবে ২২ লাখ ৩১ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এ মামলায় বাবু জেলও খাটে।