লিহান লিমা: [২]আফগানিস্তান এবং মিয়ানমারের শাসকদের বক্তৃতা ছাড়াই নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) শেষ হচ্ছে। এই দুটি দেশই জাতিসংঘে নিজেদের বক্তব্য পেশ করার আবেদন করেছিলো। সিএনএ
[২]আফগানিস্তানের সাবেক সরকারের জাতিসংঘ প্রতিনিধিকে অস্বীকার করে তালেবান নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকীনকে কথা বলতে দিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে আবেদন জানায়। তারা বলেন, সাবেক দূত গোলাম ইসাকজাই ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রতিনিধি ছিলেন তাই তিনি আর জাতিসংঘে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেন না। আফগানিস্তানের আবেদন বিবেচনা করতে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীনকে অন্তর্ভূক্ত করে একটি কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়। কিন্তু পরে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা এএফপিকে জানান যে, এই বৈঠকটি হয় নি।
[৩]জাতিসংঘ এখনো ইসাকজাইকেই আফগানিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচনা করে। এক কূটনেতিক বলেন, ইসাকজাই এই সুযোগটি গ্রহণ করে জাতিসংগের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জোরদার করার দাবী করতে পারেন। ৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের সময়ও তিনি এটি করেছিলেন।
[৪]শেষ দিনে আফগানিস্তান, মিয়ানমার এবং গিনির বক্তৃব্য দেয়ার কথা থাকলেও পরের দুটি দেশের অংশগ্রহণও বাতিল হয়ে যায়।জাতিসংঘের একজন উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক এএফপিকে বলেন, মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারের রাষ্ট্রদূতকে এবারের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে কথা বলা থেকে বিরত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীনের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। মিয়ানমারের ওই রাষ্ট্রদূত জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছিলেন। অন্যদিকে জান্তা সরকারের নিয়োগকৃত দূতকে স্বীকৃতি দেয় নি জাতিসংঘ।
আপনার মতামত লিখুন :