শাহাজাদা এমরান: [২] কুমিল্লার বুড়িচংয়ের বাকশীমূল গ্রামের সাপে কামড় দেয়া তৃতীয় শ্রেণীর তন্মী নামের এক ছাত্রীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও স্টাফ বলে ভ্যাকসিন নেই। বাঁচাতে হলে ঢাকা বা চট্রগ্রাম নিতে হবে। পরে চট্রগ্রাম নেয়ার পথে চৌদ্দগ্রামে মারা যায় শিশুটি। এ বিষয়ে কুমেক পরিচালক ও জেলা সিভিল সার্জন বলেছেন কুমিল্লায় সাপের কামড়ের চিকিৎসা হয়। কেন তাকে ঢাকা পাঠানো হলো তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকালে। তন্মী ওই গ্রামের প্রবাসী শাহ আলমের মেয়ে।
[৩] শুক্রবার দুপুরে তন্মীর বাবা শাহ আলম জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় তার ৭ বছরের মেয়ে তন্মী বাড়ীর পাশের পুকুর পাড়ে খেলতে যায়। একটু পরে দৌড়ে এসে মাকে জানায় তার পায়ে সাপে কামড় দিয়েছে। তন্মীর মা মেয়ের পা পানি দিয়ে ধুয়ে দেয়। তাঁরা ধারনা করে কাঁকরা বা অন্য কোন পোকা কামড় দিয়েছে। এক ঘন্টা পর সে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে দ্রুত কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে মেয়েকে।
[৪] সন্ধ্যা ৬ টায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২য় তলায় একটি কক্ষে নিয়ে স্যালাইন পুশ করে ডাক্তার। আধঘন্টা পর ডাক্তার ও নার্সরা জানায় তাঁকে সাপের কামড়ের ভ্যাকসিন দিতে হবে। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে ভ্যাকসিন নেই, ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামে নিতে হবে।
[৫] শিশুটির পিতা আরো জানান, হাসপাতলের লোকজন একটি এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে শিশুটিকে চট্টগ্রামের পাঠিয়ে দেয়। সন্ধ্যা ৭ টায় এ্যাম্বুলেন্সের চালক জেলার চৌদ্দগ্রাম এলাকায় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় শিশুটিকে। সেখানে ডাক্তার পরীক্ষা করে জানায় শিশুটি মৃত্যুবরণ করেছে। পরে শিশুটিকে নিয়ে বাড়ি চলে আসি। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টায় শিশু তন্মীর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
[৬] কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন বলেন, সাপে কামড়ের চিকিৎসা কুমিল্লা সদর হসপিটালেই করানো হয়। কি কারণে তাকে চট্টগ্রাম পাঠানোর কথা বলেছে তা জানা নেই। সদর হসপিটাল ছাড়াও কয়েকটি উপজেলাতে সাপে কামড়ের চিকিৎসা চালু হয়েছে।
[৭] কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মহিউদ্দিন জানান, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবশ্যই সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা হয়। তবে বৃহস্পতিবারের এ ঘটনার সাথে কারা জড়িত আমি তদন্ত করছি। অবশ্যই দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।