শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:৩০ দুপুর
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:৩০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বৈদেশিক সঞ্চয়ের পরিমাণ আর প্রবাসীদের বাস্তবতার তথ্যে মিল নেই

আলী রিয়াজ: বাংলাদেশের একটি গবেষনা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে তাঁর একটি সাক্ষাৎকারের ব্যাপারে একটি সংসদীয় কমিটি তলব করে ব্যাখ্যা চেয়েছে। এটি একই সঙ্গে বিস্ময়ের এবং উদ্বেগের। কিন্ত এই বিষয়ে দেশের লেখক গবেষকদের কোনও প্রতিক্রিয়া নেই – সেটাও লক্ষনীয়। রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) নামের একটি শীর্ষ স্থানীয় গবেষনা প্রতিষ্ঠানের চেয়ার অধ্যাপক তাসনীম সিদ্দিকীকে সংসদীয় কমিটি ডেকে নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে প্রথম আলো’তে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলা একটি কথা নিয়ে। ঐ সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক সিদ্দিকী বলেন, 'রেমিট্যান্স যদি বেশি এসেই থাকে, তাহলে অভিবাসীদের পরিবারগুলো কেন করোনার সামনে দুর্বল হয়ে পড়ল? কেন তাদের ঋণ করতে হলো? তাদের খাবার কমে গেল। বৈদেশিক সঞ্চয়ের পরিমাণ আর প্রবাসীদের বাস্তবতার তথ্যে মিল নেই।'

সংসদীয় কমিটি এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয়। সেটা হতেই পারে। কিন্ত সেই জন্যে একজন গবেষককে কেনো কমিটির সামনে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে এবং সংবাদপত্রের ভাষ্য অনুযায়ী “দুঃখ প্রকাশ” করতে হবে কেনো সেটা বোধগম্য নয়। কমিটির ভিন্নমত জানানোর একশো ধরণের উপায় ছিলো।

কমিটি যদি এই বিষয়ে প্রকাশ্য শুনানী করতো এবং তাতে অন্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে অধ্যাপক সিদ্দিকীকে ডাকতেন তবে সেটাই যথোপযুক্ত হতো। কিন্ত এখন যেভাবে ডেকে নেয়ার ব্যবস্থা চালু করা হল তা ভালো ইঙ্গিত দেয়না।

সংসদীয় কমিটি কি গবেষকরা কথা বলার সময় ‘সতর্ক’ থাকুন সেটাই বলতে চাইছে? কথা বলার ওপরে নিয়ন্ত্রনের আইনি ও আইন-বহির্ভূত অনেক ব্যবস্থাই এখন চালু আছে। সাংবাদিতায় এখন সেন্সরশীপের চেয়ে সেলফ-সেন্সরশীপ অনেক বেশি।

গণমাধ্যমের মালিকানার ধরণ স্বাধীন মতপ্রকাশের অনুকূল নয়। তদুপরি সাইবার স্পেসে কথা বলার পরে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের আক্রমণের ভাষা ও ভঙ্গী সকলের জানা – এটা হচ্ছে সেন্সরশীপ ফ্রাঞ্চাইজ করা, ভিন্নমত দমনের কাজটা অন্যের হাতে তুলে দেয়া যাতে করে সরকার বলতে পারে কাজটা আমরা করি নাই। এখন সংসদীয় কমিটি যদি সাক্ষাৎকার বা লেখালেখির জন্যে তলব করে ব্যাখ্যা চায় তাতে মনে হয় কমিটিও একই ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে। এতে করে ভিন্নমত বলে আর কিছু অবশিষ্ট থাকবেনা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়