কল্লোল মোস্তফা: সরকারি চাকরিজীবীদের না হয় পেনশনের ব্যবস্থা আছে, বেসরকারি চাকরিজীবী কিংবা শ্রমজীবী মানুষদের জন্য কি ব্যবস্থা আছে দেশে? জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অবদান রাখবার পর, নিয়মিত ট্যাক্স ও ভ্যাট দিয়ে যাওয়ার পর যখন একজন বেসরকারি চাকরিজীবী বা শ্রমজীবী মানুষ অবসর গ্রহণ করেন, তখন আর তার আয়ের কোনো উৎস থাকে না, তাকে অপরের গলগ্রহ হয়ে বাঁচতে হয়।
কেন? জনগণের করের টাকায় সরকারি চাকরিজীবীরা যদি অবসরভাতা পেতে পারেন, তাহলে সেই করের টাকা যোগানদাতা বেসরকারি চাকরিজীবী বা শ্রমজীবী মানুষেরা যখন অবসরে যান, তখন তারা কেন অবসরভাতা পাবেন না? কেন তাদের সঞ্চয়পত্রে বা ব্যাংকে টাকা জমা রেখে ক্রমহৃাসমান সুদের অর্থে কায়ক্লেশে জীবন কাটাতে হবে? (খুব কম কর্মজীবী মানুষের পক্ষেই এ জন্য পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করা সম্ভব হয়, আর যতোটুকুই বা সঞ্চয় হয়, অসুখ-বিসুখ বা কোনো ধরনের বিপর্যয়ে খুব সহজেই তা হাতছাড়া হয়ে যায়।
সারা জীবন কাজ করবার পর অবসর জীবন কীভাবে চলবেÑ এটা যে একজন কর্মজীবী মানুষের জীবনে কী ভয়বাহ অনিশ্চয়তা তৈরি করে, যেকোনো মূল্যে কিছু অর্থ জমানোর জন্য কী ভীষণ চাপ তৈরি করে, নিশ্চিত অবসরের সুবিধাভোগী সরকারি আমলা, লুটেরা ব্যবসায়ী বা মন্ত্রী এমপিদের পক্ষে অবশ্য তা উপলব্ধি করা মুশকিল। সকল ষাটোর্ধ্ব নাগরিকের জন্য সার্বজনীন অবসরভাতার দাবিটা তাই নাগরিকদের পক্ষে থেকেই জোরালোভাবে তোলা দরকার। ফেসবুক থেকে