খালিদ আহমেদ : [২] আজ বুধবার বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করবেন আইনজীবী মুরাদ রেজা ও ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমেদ রানজীব।
[৩] এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি জামিন আবেদনের শুনানি মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) করেছিলেন হাইকোর্ট।
[৪] ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দি ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ায় তাকে দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
[৫] ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর এ মামলায় দুই ধারায় মোয়াজ্জেম হোসেনকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন। রায়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৬ ধারায় মোয়াজ্জেমকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং ২৯ ধারায় তিন বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাঁকে আরও ছয় মাস কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া আইনের ৩১ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মোয়াজ্জেমকে খালাস দেওয়া হয়। সাজা ধারাবাহিকভাবে কার্যকর হবে বিধায় ওসি মোয়াজ্জেমকে আট বছরই কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
[৬] সাজার পর হাইকোর্টে আপিল করেন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। গত বছরের ১৮ আগস্ট হাইকোর্ট তাঁর আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। পরে তিনি জামিন চেয়েও আবেদন করেন। মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে ‘অসম্মানজনক’ কথা বলা ও তাঁর জবানবন্দি ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।