শিরোনাম
◈ পিআর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন ও কোন দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে?" ◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি

প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৮:১৬ রাত
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৮:১৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ধামরাই বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প

মোঃআদনান হোসেন: মৃৎশিল্পের কারিগরদের নিপুন হাতের ছোঁয়ায় মাটি হয়ে ওঠে বিভিন্ন সৌখিন সামগ্রীতে।

প্রাচীন সভ্যতার অপূর্ব উপকরণ মৃৎশিল্প আজ বিলুপ্তি পথে। পুরুষ ও বউদিদের নিপুন হাতের ছোঁয়ায় মাটি হয়ে ওঠে বিভিন্ন ধরণের সৌখিন সামগ্রী।তাদের বলা হয় পাল সম্প্রদায় এ শিল্পের প্রাণপুরুষ পালদের বর্তমানে চলছে চরম দুর্দিন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,আগে পালরা মাটি ও বালুসহ খড়কুটো বিনামুল্যে সংগ্রহ করতো। বর্তমানে এগুলি কিনতে হয়।যার কারণে উৎপাদন খরচ আগের চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে। কিন্তু বর্তমান যান্ত্রিক সভ্যতার যুগে মৃৎশিল্পীদের তৈরি পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে তারা আজ হতাশ হয়ে পৈত্রিক পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

সরকার দেশের সব মানুষের সমান উন্নয়ন চায়, প্রান্তিক মানুষের উন্নয়নে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের দিকে সরকারের নজর একটুবেশি বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, ধামরাই কর্তৃক প্রান্তিক মানুষের আদিপেশা কামার, কুমার, কাঁসা -পিতল পণ্য প্রস্তুতকারী, নাপিত, মুচি, বাশঁ - বেত পণ্য প্রস্তুতকারী,লোকজ শিল্পী, বাদ্যযন্ত্র তৈরিকারী পেশায় নিয়োজিত মানুষের জরিপ কাজ চলছে।

এই প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো প্রান্তিক পেশাজীবী গোষ্ঠীর জনগণের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করা।

এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আর্থিক অনুদান, উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে ঋণ প্রদান, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও আয়বর্ধক কাজে অন্তর্ভুক্তকরণের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করা। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও আয়বর্ধক কাজের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি ও তাদের পণ্য রপ্তানি করা । প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় নিয়ে আসা। অর্থনৈতিক সম্পৃক্তির মাধ্যমে সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করা এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে আনা । তাদের পেশার টেকসই উন্নয়নের জন্য দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান।

এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এস. এম. হাসান, বলেন করোনাসহ যে কোনো দুর্যোগে এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত এই প্রকল্পের মাধ্যমে ধামরাই উপজেলার প্রান্তিক পেশাজীবী মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে নিয়ে আসা, আদি পেশা টিকিয়ে রাখা ও তাদের জীবনমান উন্নয়নে নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সম্পাদনা: জেরিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়