শিরোনাম
◈ চট্টগ্রাম বন্দরে সাইফ পাওয়ার টেকের যুগের অবসান, এনসিটির দায়িত্বে নৌবাহিনী ◈ ১ ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজের খেলায় তালেবান, পেছনে চীন-রাশিয়া-ইরান-ভারত! ◈ পাকিস্তানকে ঠেকাতে গিয়ে ভারতে বন্যা, তোপের মুখে কঙ্গনা (ভিডিও) ◈ ৫ আগস্ট লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার জাতীয় সংসদ: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ গাজীপুরে মহানগর বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার ◈ দেশের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় জনগণ ঐক্যবদ্ধ : মির্জা ফখরুল ◈ রেস্ট হাউজে ‘নারীসহ’ ওসি, আটক করে ‘চাঁদা দাবি’ ছাত্রদল নেতার, সিসিটিভির ফুটেজ ফাঁস ◈ আর একটি হত্যাকাণ্ড ঘটলে সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ: হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের ◈ ধামরাইয়ে ঋণ দেওয়ার কথা বলে গৃহবধুকে ধর্ষণ, আসামী গ্রেফতার ◈ গাজীপুরে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার বিএনপি নেতা স্বপন

প্রকাশিত : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৩:২৭ রাত
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৩:২৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কেন পরীক্ষাগুলো খামাখা ২০২৩ সাল পর্যন্ত টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যেতে হবে?

আকতার বানু আলপনা: ইতোমধ্যে আমরা সবাই জেনেছি যে, দেশের বর্তমান প্রস্তাবিত শিক্ষানীতিতে তিনটি বিষয়ে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে। যেমন -[১] তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা থাকবে না। এ বিষয়টিকে আমি খুবই ইতিবাচকভাবে দেখছি। কারণ এই সময়টায় বাচ্চাদের পরীক্ষায় পাস-ফেলের চেয়ে তাদের মানবিক বোধ ও নানা মানবিক গুণাবলীর বিকাশ, যেমন- শারীরিক বিকাশ, মানসিক বিকাশ, আবেগীক বিকাশ, সামাজিক বিকাশ, নৈতিক বিকাশ ইত্যাদি হওয়া বেশি জরুরি। তাছাড়া আনন্দময় শৈশব পাওয়া প্রতিটা শিশুর ন্যায্য অধিকার। এই শৈশবকালীন আনন্দময় অভিজ্ঞতা তার সারাজীবনের ভালো আচরণের মৌলিক ভিত্তি। তাই এ সময়ে শিশুরা পরীক্ষা-ভীতি, প্রাইভেট- কোচিং-গাইড বই পড়ার বাধ্যবাধকতা বা পড়াশোনার কড়াকড়ি ছাড়া যে শিক্ষাটা পাবে, সেটি তার উপরোক্ত সব ধরনের বিকাশকে যেমন ত্বরান্বিত করবে, তেমনি পরীক্ষা দেওয়ার চিন্তা না থাকায় তারা স্কুলে আনন্দের সঙ্গে শিখবে, আনন্দের সঙ্গে সময় কাটাবে।

[২] নবম-দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক, বিজনেস স্টাডিজ ইত্যাদি কোনো পৃথক বিভাগ থাকবে না। সবার জন্য একটি সমন্বিত শিক্ষার ব্যবস্থা থাকবে, যাতে করে আমাদের শিক্ষার্থীরা সবাই বিজ্ঞান মনস্ক হয়ে গড়ে ওঠে। আমার মনে হয়, এটিও একটি ভালো উদ্যোগ। কারণ বর্তমান পৃথিবীতে বিজ্ঞান শিক্ষা সবার জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এদেশের সব শিক্ষার্থীদেরকে বিজ্ঞানের মৌলিক কিছু বিষয় শেখানোর পর বিশেষায়িত শিক্ষা দেওয়া যেতেই পারে। কারিকুলামটি যথাযথ হলে তা আমাদের শিক্ষাথীদেরকে বিজ্ঞান মনস্ক করে গড়ে তুলতে সহায়তা করতে পারবে। [৩] এইচএসসির ক্ষেত্রে দুইটা সেশনে পরীক্ষা হবে। আর দুটির সমন্বয়ে রেজাল্ট নির্ধারণ করা হবে। এটাও আমার কাছে ভালো উদ্যোগ বলেই মনে হয়। কারণ দুই সেশন শেষে পরীক্ষা দিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ার চাপ অনেক বেশি হয়ে যায়। তারচেয়ে বরং বছর শেষে প্রথম পত্রের পরীক্ষা হয়ে গেলে পরের সেশনে শিক্ষার্থীরা শুধু দ্বিতীয় পত্রের বিষয়বস্তুগুলোই পড়বে। ফলে তাদের পড়ার বিষয়বস্তুর পরিমাণ অর্ধেক হয়ে যাবে এবং পড়তে শিক্ষার্থীদের কষ্ট কম হবে। তাছাড়া প্রতি শ্রেণিতে তো বছর শেষেই শিক্ষার্থীরা বার্ষিক পরীক্ষা দেয়। এক্ষেত্রেও তাই হবে। ফলে শিক্ষার্থীদের সমস্যা হবে না। আর যেহেতু দুই সেশনের পরীক্ষার ফলাফলের সমন্বয়ে শিক্ষার্থীদের ফাইনাল গ্রেড নিধারণ করা হবে, সেহেতু সময় নষ্ট না করে শুরু থেকেই শিক্ষার্থীরা দুটি সেশনকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে পড়তে বাধ্য হবে।

তবে উদ্যোগগুলো ভালো হলেও গতানুগতিক ধারার বাইরে শিক্ষানীতিতে প্রস্তাবিত এই নতুন সংযোজনগুলো বাস্তবায়নে আমাদের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষাথীরা যথেষ্টই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে। তাই শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ বা ওরিয়েন্টেশনের ব্যবস্থা করলে ধীরে ধীরে সবাই পরিবর্তনগুলোতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে বলে আমার মনে হয়। তবে আমি আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই এজন্য যে, দেরিতে হলেও শেষ পর্যন্ত তারা পিএসসি, জেএসসি পরীক্ষাগুলো বন্ধ করছে। ২০২৩ সাল থেকে। এ পরীক্ষাগুলো শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের জন্য শুভ কোনো উদ্যোগ ছিলো না বলেই সেগুলো বন্ধ হচ্ছে। আমার প্রশ্ন হলো, যদি পরীক্ষাগুলো শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের জন্য উপকারী কিছু না হয়েই থাকে, তাহলে সেগুলো এখনই বন্ধ হচ্ছে না কেন? কেন পরীক্ষাগুলো খামাখা ২০২৩ সাল পর্যন্ত টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যেতে হবে? ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়