শাহীন খন্দকার : [২] গত কয়েকদিনে অস্বাভাবিকভাবে গরমে দূর্বল হয়ে পড়ছে শিশুরা। ভুগছে নানা অসুখে। এর মধ্যে ডায়রিয়া, ভাইরাস জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত জটিলতাই বেশি। রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে বেড়েছে এই রোগীদের ভিড়। বিএসএমএমইউর শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. পিপিদে বলছেন, করোনা ও ডেঙ্গু রোগের এই সময়ে শিশুদের দিকে বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। কেননা অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ সারা দেশের মানুষ। মাঝে-মধ্যে হালকা বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও পরক্ষণেই জেঁকে বসছে ভ্যাপসা গরম।
[৩] তিনি আরো বলেন, দাবদাহের এই প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা শিশুদের। তীব্র গরমের কারণে ঢাকার প্রায় সব হাসপাতালে জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াতে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা বাড়ছে। এতে সংকট দেখা দিয়েছে হাসপাতালগুলোতে শয্যার।
[৪] শিশু হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. প্রবীর কুমার সরকার বলেন, শিশুরোগীর চাপ ক্রমান্নয়েই বাড়ছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এতো রোগী আসছে গত এক সপ্তাহে যে, বর্তমানে সিট দিতে পারছি না। শেরে-ই বাংলা নগর শ্যামলী শিশু হাসপাতালে শিশুদের জন্য রয়েছে পৃথকভাবে রয়েছে, করোনা ও ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের পৃথক ওয়ার্ড।
[৫] বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, এই সময়ে বড়দেরসহ ছোটদেরও বেশি পরিমাণে তরল খাবার ও পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখা উচিত। শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্ন ও সচেতনতার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রচন্ড গরমে দেশে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীদের ১টি বেডের তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে! এ অবস্থায় আমাদের খুব বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
[৬] ডায়রিয়া হলে শুরুতেই কোন প্রকার এন্টিবায়োটিক (মেট্রোনিডাজল, নিটাজক্সং, সিপ্রোফ্লক্সাসিন, এজিথ্রোমাইসিন, ইরিথ্রমাইসিন, টেট্রাসাইক্লিন ও অন্যান্য) এবং এন্টিডায়রিয়াল ড্রাগস (লোপেরামাইড) ইত্যাদি খাওয়াবেন না।
[৭] ডায়রিয়া চলাকালীন পানিশুন্যতা রোধে খাবার স্যালাইন ও এর পাশাপাশি তরল খাবার (ডাবের পানি, ভাতের মাড়, চিড়া ভিজানো পানি) খাওয়ানোর পরামর্শ দিলেন শিশু হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. প্রবীর কুমার সরকার। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :