ডেস্ক নিউজ: গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) এক বিজ্ঞানী লবণ সহিষ্ণু, উচ্চ ফলনশীল, জাব পোকা (এফিড) প্রতিরোধী লাল রঙয়ের (অ্যান্থসায়ানিন যুক্ত) শিম উদ্ভাবন করেছেন। সম্প্রতি এ জাতের শিমটি কৃষক পর্যায়ে চাষাবাদের জন্য জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক অনুমোদন পেয়েছে।
বিইউ-৭, নতুন জাতের একটি শিম। লাল রঙের এই শিম উচ্চ ফলনশীল ও জাব পোকা (এফিড) প্রতিরোধী। একটি শিমে অ্যান্থোসায়ানিনের পরিমাণ ২৯ মাইক্রোগ্রাম। অ্যান্থসায়ানিন মানব দেহের মাংসপেশির প্রদাহ কমায়, রক্ত জমাটবঁাঁধা প্রতিরোধ করে এবং ক্যানসাার মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি মানবদেহের অন্যতম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগপ্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ জার্নাল
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. গিয়াসউদ্দিন মিয়া বলেন, আমাদের এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাদানের পাশাপাশি গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সুযোগ সীমিত থাকার পরও এখানের গবেষকরা ইতোমধে বহু উচ্চফলনশীল সবজির জাত উদ্ভাবন করেছেন। বিইউ-৭ দেশের শিম চাষে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে এ জাতের শিম ক্যানসার প্রতিরোধসহ মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী।
সম্প্রতি এ জাতের শিমটি কৃষক পর্যায়ে চাষাবাদের জন্য জাতীয় বীজ বোর্ডের অনুমোদন পেয়েছে। উদ্ভাবকের দেওয়া তথ্য মতে, এ জাতের শিম মানবদেহে ক্যানসার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জানা গেছে, দেশের সব জেলাতেই শীত মৌসুমে এ জাতের বীজ রোপণ করা যাবে। গোবর-মাটির মিশ্রণে ভরা ছোট পলিথিনে চারা গজিয়ে পরবর্তীতে মাঠে লাগানোই উত্তম। প্রতিগর্তে ১০ কেজি পচা গোবর, ১০ গ্রাম ইউরিয়া, ৩০ গ্রাম টিএসপি ও ২০ গ্রাম পটাশ সার প্রয়োগ করতে হবে। এ শিম খরাসহিষ্ণু। তবে মাটিতে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি কমে গেলে সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। গাছের আকার ও ফলন বিবেচনায় এটি ছাদকৃষির জন্য একটি চমৎকার ফসল।
এ জাতটি জাব পোকা প্রতিরোধী। তবে অন্যান্য শিমের মতো খুদে মাকড় বা রেডমাইটের আক্রমণ দেখা দিতে পারে। খুদে মাকড় বা রেডমাইটের আক্রমণ দেখা দিলে প্রতিকারের জন্য ভার্মিটেক ১৫ গ্রাম ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে গাছে প্রয়োগ করতে হবে। বীজ লাগানোর ১৩০ দিনের মধ্যে শিম সংগ্রহ করা যায়। তবে বীজ সংগ্রহের জন্য আরও ২০দিন বেশি লাগবে। দুই থেকে চার মাস একই গাছ থেকে শিম সংগ্রহ করা যাবে।