মনিরুল ইসলাম: [২] ১৯ আগস্ট থেকে সব বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ায় পর্যটকেরা কক্সবাজার, সিলেট, রাঙ্গামাটি, বান্দরবন ও খাগড়াছড়ি তিন পার্বত্য জেলায় বেড়াতে যাচ্ছেন মানুষ । এতে দেশের পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলে ঠাঁই পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে।
[৩] রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়িতে বেড়েছে পর্যটকদের ঘোরাফেরা । অনেকে সিলেট অঞ্চলের হাওরমুখী হতে শুরু করেছেন।
[৪] পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে ঘোষণা করা হচ্ছে নানা প্যাকেজ। কোন কোন হোটেল ও মোটেলে মূল্য ছাড় দেওয়া হচ্ছে ৪০-৫০ পারসেন্ট। আগামি ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ ছাড় থাকবে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের বলে এফবিতে প্রচারণা চালাচ্ছে।
[৫] কক্সবাজার বেড়াতে যাওয়া এক পর্যটক জানান, প্রধান ও জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের সমাগম বৃদ্ধি পাওয়ায় সেসব এলাকার হোটেল-মোটেল–রেস্তোরাঁ ও পরিবহন মিলিয়ে সব ব্যবসায়ই যেন এখন প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
[৬] অন্যদিকে, জানা গেছে, করোনার কারণে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ না থাকায় ভ্রমণপিপাসুরা দেশের ভেতরেই ঘুরতে যাচ্ছেন।
[৭] বাংলাদেশ টেলিভিশন এন্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসার্স এসোসিয়েশনের নেতা রেজাউল হক রেজা আলাপকালে জানান , দীর্ঘদিন ধরে ঘরে বসে থেকে হাঁপিয়ে উঠছিলাম। সবকিছু খুলে দেওয়ায় দলবেঁধে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সিলেটে ঘুরে বেড়াচ্ছি।
[৮] এদিকে, ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) সূত্রে জানা গেছে, করোনার আগে প্রতিবছরে গড়ে ৫০ থেকে ৬০ লাখ পর্যটক দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্পটে ভ্রমণ করেন। কিন্তু এবারে করোনার কারণে সাড়ে ৪মাস পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় পর্যটন ব্যবসা থমকে যায়। কিন্তু দুই সপ্তাহ আগে সব খুলে দেওয়ায় আবার জমতে শুরু করেছে এই খাত।
[৯] টোয়াব সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান জানান, অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ এখনও ট্যুর অপারেটরদের মাধ্যমে তেমন একটা হয় না। বছরে ৫ থেকে ৬ লাখ পর্যটক ট্যুর অপারেটরদের আয়োজনে ভ্রমণ করেন। গত দুই সপ্তাহে ধীরে ধীরে ট্যুর অপারেটররাও গ্রাহক পেতে শুরু করেছে। আশা করি নভেম্বর - ডিসেম্বর থেকে আরও বাড়বে।