রাশিদুল ইসলাম : [২] যুক্তরাষ্ট্রের ‘রেজিম চেঞ্জ’ নীতির বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটছে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে। আফগানিস্তানে ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়ে চরম শিক্ষার কারণে আর কোনো দেশকে ‘সংশোধন’ করতে যুদ্ধে জড়াবে না দেশটি। দেশটির পররাষ্ট্রনীতি এরকম পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
[৩] আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সময় রক্তপাত ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির দায় নিজের কাঁধে নিয়ে তিনি বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে নতুন যুগের সূচনা ঘটবে, যেখানে সামরিক শক্তির ওপর নির্ভরতা কমে আসবে।
[৪] গত সোমবার মধ্যরাতে সর্বশেষ মার্কিন সেনাদল প্রাণ নিয়ে কোনোমতে কাবুল ত্যাগ করে। এর ২৪ ঘণ্টায় মাথায় হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন জো বাইডেন। তিনি আরও বলেন, বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা পরিবর্তনের এটাই সময়। এ সিদ্ধান্ত শুধু আফগানিস্তান নিয়েই নয়, এটা অন্য দেশ পুনর্গঠনে বৃহৎ পরিসরে সামরিক অভিযান চালানোর যুগেরও সমাপ্তি।
[৫] আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত যথাযথ ছিল দাবি করে জো বাইডেন বলেন, এক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের হওয়া চুক্তির আওতায় পাঁচ হাজার তালেবান বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেখানে তালেবানের শীর্ষস্থানীয় সামরিক কমান্ডাররাও ছিলেন। তারাই আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিতে বড় ভূমিকা রেখেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :