মো: রেদওয়ানুল হক : আলতাফুর রহমান পেশায় একজন শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি কবুতর লালন পালন করে এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বাড়ির ছাদ আর খোলামেলা পরিবেশে রং বে-রংয়ের ভিন্ন জাতের কবুতর গুলো ভোরের সকাল ফর্সা হতে না হতেই ডানা মেলে উড়ে ফিরে শিক্ষকের গৃহে। দিনে দিনে কবুতরের সংখ্যা বাড়ায় বিক্রি করছেন বাণিজ্যিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন তিনি।
জানা যায়, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অবসর সময়কে কাজে লাগান ঠাকুরগাঁও সদরের সালন্দর মাদ্রাসার শিক্ষক আলতাফুর রহমান। সখের বসে গত বছরের মার্চ মাসে মাত্র ৩০-৩৫টি কবুতর ক্রয় করে বাড়ির ছাদে লালন পালন শুরু করেন তিনি। বদ্ধ ঘরে কবুতর লালন পালনে নিজের কাছে অনেকটা অপরাধী মনে হলে ছেড়ে দেন খোলা মেলা পরিবেশে। এ থেকেই তার পালিত কবুতরগুলো প্রতি মাসে ডিম থেকে বাচ্চা দিতে শুরু করে। এতে কয়েক মাসেই শতাধিক কবুতর যোগ হয়।
রক্ষনা-বেক্ষনে ছাদে পরিধি বাড়িয়ে বাজার থেকে ক্রয় করেন বিভিন্ন জাতের আরো বেশকয়েক জোড়া কবুতর। বছর পেড়িয়ে তার কবুতরের সংখ্যা দাড়িয়েছে সাত শতাধিক পালিত কবুতরগুলোর মধ্যে রয়েছে, গিরিবাজ, হোমার, ঘিয়া চন্দন, কালদন, শো কিং, কোকা, মুক্ষিসহ আরো কয়েকটি জাত। বর্তমানে এসব কবুতর ভোড়ের সূর্য ওঠার আগেই ঘর থেকে বেড়িয়ে আশপাশে বাড়ির ছাদ আর খোলা আকাশে উড়ে বড় হচ্ছে। এক ঝাঁক কবুতরের বাকবাকুম শব্দ আর খুনসুটি দেখতে আশপাশের অনেকে হাজির হন শিক্ষকের ছাদে। মনোরম পরিবেশে সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এক জোড়া কবুতর এখন বিক্রি করছেন ৩শ থেকে ৬ শ টাকা পর্যন্ত।
স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, ভাল পরিবেশ থাকলে কবুতর লালন পালন করে উদ্যোগতারা অল্প সময়ে লাভবান হতে পারেন।
শিক্ষক আলতাফুর রহমান জানান, কবুতর পালনে যেমন মানসিক প্রাশান্তি রয়েছে। তেমনি অল্প সময়ে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। তবে সময় মত প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পরামর্শ নিয়ে কবুতর লালন পালন করলে ঝুকি নেই।
সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মামুন অর রশিদ জানান, শিক্ষকতার পাশাপাশি কবুতর পালন করে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপশি মাংসের চাহিদা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভুমিকায় রাখছেন। প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে তাকে সব সময় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।