মো. রেদওয়ানুল হক: [২] ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের পাশে ৩৩ হাজার ভোল্টের স্টিলের তৈরি একটি বৈদ্যুতিক টাওয়ার লতায়-পাতায় ঢেকে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে টাওয়ারের এ অবস্থা হলেও নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড ঠাকুরগাঁও (নেসকো) কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
[৩] সরেজমিনে শনিবার (২৮ আগস্ট) গিয়ে দেখা যায়, পৌরশহরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকার পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের পাশের ধান ক্ষেতের ভিতর দিয়ে টানা বৈদ্যুতিক লাইনের টাওয়ারটি লতায়-পাতায় ভরপুর হয়ে সম্পূর্ণ অরক্ষিত ও বিপজ্জনক অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
[৪] স্থানীয়রা জানান, অবস্থাদৃষ্টে দেখলে মনে হয় এটি একটি গাছ। দেখতে অনেকটা গাছের মতই লাগে। কাঁচা লতা-পাতায় জড়ানো এ খুঁটি সটসার্কিটের মাধ্যমে যে কোন সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বিদ্যুৎ বিভাগের সেখানে কোনো নজরদারি নেই। এ টাওয়ারের কাছ দিয়ে চলাফেরা করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এখানে এবার আমন ধান লাগানো হয়েছে। মাঠে কৃষকরা এর পাশ দিয়ে চলাফেরা করছেন। যদি অসাবধানতার কারণে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে জড়ানো এ সব লতা-পাতায় মানুষের স্পর্শ লেগে তাঁর প্রাণ চলে যায়, এর দায়ভার কে নেবে? এ বিষয়ে নেসকো কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু এখনো তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
[৫] এবিষয়ে জানতে চাইলে নেসকোর ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী প্রকোশলী মামুনুর রশিদ বলেন, কয়েকদিন আগে ওই টাওয়ারে গাছের লতা-পাতা জড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি দেখেছি। লাইনম্যানকে বলে দিয়েছি দ্রুত লতা-পাতা অপসারণ করতে। সম্পাদনা: হ্যাপি