শিমুল মাহমুদ: [২] [২]সেপ্টেম্বরে আসতে পারে শিশুদের ভ্যাকসিন। এ পর্যন্ত ২ কোটি ২৪ লাখ ১৩ হাজার ৭৯ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকা এসেছে ৩ কোটি ৯ লাখ ৪৩ হাজার ৭২০ ডোজ।
[৩] বর্তমানে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা, তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে শিশুদের টিকাকরণ শুরুরও অপেক্ষা চলছে। এই পরিস্থিতিতে এই স্বস্তির খবর দিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। [৪] তারা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য সংক্রমণ শূন্যের কোঠায় আসার অপেক্ষায় থাকা উচিত নয়। এটি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, সংক্রমণের প্রধান চালিকাশক্তিগুলোর মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রশমন কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে স্কুলগুলোতে সংক্রমণের ঝুঁকি সামলানো সম্ভব।
[৫] জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া উচিত। ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সমস্যা নেই। [৬] তিনি আরো বলেন, ট্রায়াল হচ্ছে তবে কোনো টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নিশ্চিত করে কিছু বলেনি, ডব্লিওএইচও অনুমোদন দেয়নি। অনুমোদন দিলে টিকার বিষয়ে জোর দেবো। [৭] যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড ইউনিভার্সিটি’র সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ড. খোন্দকার মেহেদী আকরাম বলেন, শিশুদের জন্য এই মুহূর্তে টিকা অপরিহার্য না। স্কুল কলেজ খোলার জন্য টিকার প্রয়োজন নেই। যুক্তরাজ্যে শিশুদের টিকা না দিয়েই সব স্কুল কলেজ খোলা রয়েছে।
[৮] তিনি বলেন, ১২-১৮ বছরের শিশুদের কোভিডে মৃত্যুহার অনেক কম। যুক্তরাজ্যের গবেষণা অনুযায়ী প্রতি ৫০ হাজার কোভিডে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে মাত্র একজনকে আইসিইউতে ভর্তি হতে হয়েছে। অন্যদিকে ৬০ বছরের বেশি বয়সের মানুষদের ভেতরে কোভিডে মৃত্যুহার প্রায় ২০ শতাংশ। তাই এ মুহূর্তে শিশুদের টিকা না দিয়ে আগে বয়স্কদের টিকা দেয়া উচিত।
[৯] আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির ডিরেক্টর প্রিয়া আব্রাহাম জানান, ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে ৫টি ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ফেজের ট্রায়াল চলছে। সেপ্টেম্বরে শিশুদের ভ্যাকসিন চলে আসতে পারে। এছাড়া ভারতে জায়ডস ক্যাডিলার ট্রায়ালও জারি রয়েছে বলে জানান তিনি। সম্পাদনা: হাসান হাফিজ