নূহ -উল-আলম লেনিন: সতী ঠাকরুনের মঠ । লৌহজং ইউনিয়র বেজগাওঁ-এ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে অস্টাদশ শতকের নিষ্ঠুর সতীদাহ প্রথার এই স্মারকচিহ্ স্হাপত্যটি। আমাদের দেশের সামাজিক ইতিহাসের এই দুর্লভ স্মারকস্তম্ভটি সংরক্ষণের অভাবে নিশ্চহ্ন হতে চলেছে। ২০০৫ সালে মঠটি যখন প্রথম আমি দেখি তখনমঠের চারপাশে যথেষ্ট ফাঁকা জায়গা ছিল। পাঁচ বছর আগেও মঠটি আগ্রাসীবটগাছে ওঁকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখেনি। আর এখন মঠেরচূডো বটগাছের কাণ্ড এবং শেকড়ে ছেলে গেছে। মঠের জমি বেদখল এবং সংরক্ষণের অভাবে যে কোনো সময়ে ভঙ্গে পড়তে পারে।গত ২০ অগাস্ট মঠটি পরিদর্শনে গেলে ওই ভগ্নদশা দেখে নিজেকেকেই ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করছে।
অথচএই মঠটি সংরক্ষণের জন্য ব্যক্তিগতভাবে এবং অগ্রসর বিক্রমপুর বহুবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কতৃপক্ষের কথাবার্তা হয়েছে।
এমনকি আমার উপর্যোপরি অনুরোধের প্রেক্ষিতে প্রত্নতত্ব বিভাগের দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সরেজমিনে মঠটি পরিদর্শনও করে গেছে। কিন্তু এবার গিয়ে বুঋলাম কতৃপক্ষ মুখে যাই বলুন তারা মঠটির ধ্বংসের অপেক্ষায় আছে।
সামান্য কিছু অর্থ বরাদ্দ করে আমাদের ছাত্র-ছাত্রী ও নতুন প্রজন্মকে এদেশের একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখার সুয়োগ করে দেওয়া যেত।
এখনো সময় আছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ উদ্যোগ নিলে চূড্ন্ত ধ্বংস ঠেকানো যাবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :