লিহান লিমা: [২] যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বৈদেশিক সংকট (আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার) সময়ে চীন ও জাপানের রাষ্ট্রদূত বেছে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জাপানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে রাহাম ইমানুয়েল ও নিকোলাস বার্নস’কে চীনের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সিএনএ
[৩]প্রগতিশীল ডেমোক্রেট ইমানুয়েল শিকাগোর সাবেক মেয়র। তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার চিফ অব স্টাফ, প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের জ্যেষ্ঠ পরামশর্ক এবং ইলিনয়ের কংগ্রেস প্রতিনিধি ছিলেন।
[৪]পেশাদার কূটনৈতিক বার্নস পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে দীর্ঘ দায়িত্ব পালনের পর অবসর নিয়েছেন। ২০০৫ এবং ২০০৮ সালে তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীনে কাজ করেছেন। গত কয়েক দশকে বেইজিংয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয়া হলেও এবার গতানুগতিকতার বাহিরে গিয়ে বার্নস নিয়োগ পেলেন। সিনেট কর্তৃক তার মনোনায়ন চূড়ান্ত হলে দশকব্যাপী সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে থাকা বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্ক নিয়ে কাজ করতে হবে।
[৫]বাইডেন সাম্প্রতিক মার্কিন প্রেসিডেন্টদের চাইতে দূত বাছতে ধীরে সুস্থে কাজ করছেন, যাদের প্রায় প্রত্যেকের মনোনায়নই সিনেটের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রথম দুই মাসের প্রেসিডেন্সিতে একজন রাষ্ট্রদূতের নামও প্রস্তাব করেন নি তিনি। গত ছয় মাস ধরে প্রেসিডেন্সির দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত হিসেবে কেন সালাজারের পদ নিশ্চিত করেছে সিনেট। চীন, কানাডা, ভারত, ফ্রান্স এবং ইসরায়েলের মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোতে এখনো অস্থায়ী দূতরা কাজ করছেন।