শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৯ আগস্ট, ২০২১, ০১:০৬ দুপুর
আপডেট : ০৯ আগস্ট, ২০২১, ০১:০৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] পুলিশের তৎপরতায় চট্টগ্রামে খুন হওয়া থেকে বাঁচল একটি পরিবার

রাজু চৌধুরী : [২] নগরীতে প্রকাশ্যে চাপাতি নিয়ে হত্যাচেষ্টারত অবস্থায় একজনকে আটক করে এক রুদ্ধশ্বাস অভিযানের পর পুরো পরিবারকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে সিএমপির ডবল মুরিং থানার পুলিশের একটি টিম। এসআই অর্ণব বড়ুয়ার নেতৃত্বে
পুলিশের তৎপরতায় হত্যার হাত রক্ষা পেল একটি পরিবার।

[৩] একইসাথে পুলিশ রুখে দিয়েছে একটি আত্মহত্যাপ্রচেষ্টাও। রূদ্ধশ্বাস এক ঘণ্টা অভিযানের পর ওই পরিবারকে উদ্ধার করে আটক করা হয় তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে এসে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করা সুজন দাশ (৪২) কে। তার কাছ থেকে দুইটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।

[৪] রোববার রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার পূর্ব গোসাইলডাঙ্গা প্রগতি শিপংয়ের পেছনে মিনু ম্যানশনে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতার হওয়া সুজন চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার পূর্ব মেখল আলীপুর গ্রামের সাধন মেম্বারের বাড়ির মৃত সাধন দাশের ছেলে।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, ১৩ বছর আগে সুজনের বিয়ে হয় সুতৃষ্ণা দাশের সাথে। এই ঘরে তাদের দুই সন্তান রয়েছে। তারা চট্টগ্রামের আসকার দীঘি এলাকায় থাকেন।

[৫] সম্প্রতি সুজন আরেক মেয়ের সাথে পরকিয়া করতে গিয়ে স্ত্রীর কাছে ধরা পড়ে যান। এটা নিয়ে দু'জনের মধ্যে প্রায়ই বাকবিতণ্ডা হয়। সর্বশেষ ০৩ দিন আগে এ বিষয়ে তুমুল ঝগড়া হলে সুতৃষ্ণা পূর্ব গোসাইলডাঙ্গা মিনু ম্যানশন বাবার বাড়ি চলে আসেন। সুজন বারবার তাকে বাড়ি ফিরে যেতে বললেও সুতৃষ্ণা বাবার বাড়ি ছেড়ে যেতে রাজি হন না। এতে ক্ষিপ্ত হয়েই সুতৃষ্ণা ও তার বাবা-মাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন সুজন। পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন দুইটি চাপাতি কেনেন। গতকাল রাতে যখন ওই দুই চাপাতি নিয়ে মিনু ম্যানশনের ৫ম তলায় উঠছিলেন তখন তাকে দেখে ফেলেন সুতৃষ্ণা।

[৬] তাড়াতাড়ি ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। সুজন প্রথমে দরজা ধাক্কা দেন। কিন্তু ভেতর থেকে দরজা না খোলায় এলোপাতাড়ি দরজায় কোপাতে থাকেন। এতে দরজা কিছুটা নড়বড়ে হলে ভেতরে আলনা, টেবিল, সোফা দিয়ে দরজা আটকে রাখেন সুতৃষ্ণা ও তার পরিবার। এসময় সেখান থেকে থানায় ফোন দিলে রাত ১১ টা ১০ মিনিটে পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। কিন্তু পুলিশকে দেখে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন সুজন।

[৭] এসময় চাপাতি নিয়ে পুলিশের দিকেও তেড়ে আসেন কয়েকবার। এক পর্যায়ে নিজের গলায় চাপাতি ধরেন তিনি! পুলিশ চলে না গেলে নিজেকে 'শেষ ' করে দেওয়ার হুমকিও দেন তিনি। অবশেষে এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় বিভিন্ন কৌশলে সুজনকে নিবৃত্ত করে তাকে আটকে সক্ষম হয় পুলিশ। তার কাছ থেকে নতুন কেনা সেই দুই চাপাতিও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সুজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার চেষ্টা, হত্যাপ্রচেষ্টা ও হুমকি প্রদর্শনের অপরাধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়