লিহান লিমা: [২] হংকংয়ের বাসিন্দাদের জন্য সাময়িকভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘নিরাপদ স্বর্গ’ ঘোষণা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, হংকংবাসীর স্বাধীনতা খর্ব করেছে চীন, হংকংয়ের বাসিন্দাদের ১৮ মাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি দেয়া হবে। বাইডেনের এই ঘোষণায় লাভবান হবে যুক্তরাষ্ট্র সফর করা হাজারো হংকংয়ের বাসিন্দা। বিবিসি
[৩] মার্কিন সরকার জানিয়েছে, ২০১৯ সালে ১ লাখ ৫৫ হাজার ও ২০২০ সালে ২৩ হাজার দর্শনার্থী হংকং থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে। তবে যাদের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারী মামলা রয়েছে তারা যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি পাবেন না।
[৪] যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বাইডেনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এটি বড় হৃদয়ের সিদ্ধান্ত।’ এর আগে গত বছর বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংয়ে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন জারি করার পর হংকংয়ের ৩ লাখ বাসিন্দাকে স্থায়ী নাগরিকত্ব দেয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাজ্য।
[৫]ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চীনের দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেনয়ু বলেন, মার্কিন সরকারের পদক্ষেপ চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ।
[৬] হংকংয়ে কার্যকর হওয়া এই নিরাপত্তা আইনে গণতন্ত্রপন্থী কার্যকলাপ, চীন বিরোধী বিক্ষোভ, বিদেশী শক্তির সঙ্গে আঁতাত ও ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধ করে যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়। এই আইনকে ১৯৯৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে হংকংকে বুঝে নেয়ার সময় চীন এই অঞ্চলের ৫০ বছরের যে আধা-স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দিয়েছিলো তার স্পষ্ট লঙ্ঘন বলছে পশ্চিমা দেশগুলো।