শিরোনাম
◈ ৯টা থেকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্ধরে ফ্লাইট চলাচল শুরু ◈ দ‌লের কা‌ছে নয়, রিশা‌দের কা‌ছে হে‌রে গেলো ও‌য়েস্ট ই‌ন্ডিজ ◈ ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল: সিইসি ◈ চট্টগ্রামে আটটি ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ, কুয়েতের ফ্লাইট বাতিল ◈ শাহজালালে আগুনের সূত্রপাত ও হতাহতের বিষয়ে যা জানা গেল ◈ আগুন লাগার ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন নয়, স্বৈরাচারের দোসরদের চক্রান্তের অংশ: সারজিস ◈ যেখান থেকে শাহজালাল বিমানবন্দর কার্গো এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ◈ ঢাকা বিমানবন্দরের আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে: বেবিচক ◈ কার্গো নিরাপত্তায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কয়েকদিনের মাথায় এই অগ্নিকাণ্ড! ◈ তারেক রহমা‌নের ভাবমূর্তি নির্বাচ‌নে ব্যবহার করতে চায় বিএনপি, হাওয়া ভবনের মেমোরি' বড় চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত : ২৫ জুলাই, ২০২১, ০৩:৫৪ দুপুর
আপডেট : ২৫ জুলাই, ২০২১, ০৩:৫৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] পদ্মার ভাঙনে ৬৫ বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন

হারুন-অর-রশীদ: [২] ফরিদপুর সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের নাজির বিশ্বাসের ডাঙ্গী ও আয়জদ্দিনের ডাঙ্গী গ্রামে পদ্মা নদীর ভাঙনে ২২টি পরিবারের ৬৫ বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া বিলীন হয়ে গেছে ২ একর ফসলি জমি এবং অন্তত ৩৩ মিটার সড়ক।

[৩] এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১৭ জুলাই রাত ৩টা থেকে এ ভাঙন শুরু হয়। টানা তিন দিন ভাঙনের তীব্রতা ছিল ভয়ংকর। ঈদের দিন থেকে ভাঙনের তীব্রতা কমে এলেও ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

[৪] রোববার (২৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পদ্মা নদী পাড় হয়ে ওই দুটি গ্রামে গিয়ে ভাঙনের ভয়াবহ চিত্র দেখা যায়। নদীর ভাঙন নাজির বিশ্বাসের ডাঙ্গী থেকে শুরু হয়ে পূর্বদিকে আয়জদ্দিনের ডাঙ্গী এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। ওই দুটি গ্রামে অন্তত এক কিলোমিটারজুড়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।

[৫] সরেজমিনে দেখা যায়, এলজিইডির এইচবিবি সড়কে ভেঙে ফেলা বাড়িগুলোর টিন, কাঠসহ আসবাবপত্র স্তূপ আকারে রাখা হয়েছে। যাদের সামর্থ্য আছে তারা ওই সড়কের ওপর নতুন করে ঘর তুলে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিয়েছেন। পদ্মার ভাঙনে বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ।

[৬] জানা যায়, ওই দুটি গ্রামে অন্তত পাঁচ শতাধিক পরিবার বসবাস করে। গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ ইটভাটায় কাজ করেন। অনেকে যুক্ত কৃষি কাজের সঙ্গে আবার কেউ কেউ মুদি, ভাঙারির ব্যবসা করেন। দুটি ইট ভাটা রয়েছে দুটি গ্রামে। ওই ভাটা দুটি হুমকির মুখে রয়েছে। এছাড়া দুটি গ্রামের আরও অন্তত অর্ধশত পরিবার ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।

[৭] নাজির বিশ্বাসের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা নৌকাচালক সেলিম ফকির (৩৭) বলেন, ‘রবিবার (১৮ জুলাই) রাইত তিনটার দিকে ভাঙনের শব্দে ঘুম ভাইঙ্গা যায়। উইঠা দেখি গাঙ শোসাইতে শোসাইতে ভাইঙ্গা আমার ঘরের দিকে আগায় আসতেছে। চিৎকার চেঁচামেচি কইরা আশেপাঁশের লোকদের জাগায় তুলি। পরে সকলে ঘর ভাইঙ্গা সরাতে শুরু করি। এর মধ্যে কয়েকটি ঘর নদীতে বিলীন হয়ে যায়।’

[৮] সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুম রেজা বলেন, ভাঙনের কথা তিনি আজ জানতে পেরেছেন। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে। ভাঙনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের তালিকা করে সাহায্য দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, ভাঙন রোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা সরেজমিনে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রোববার (২৫ জুলাই) ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়