হাসান তাকী: [২] বিশ্বজুরে চলমান সাইবার হামলার মাঝে নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে ইসরাইলের স্পাইওয়্যার গ্রুপ পেগাসাস। রোববার ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানসহ ১৬টি সংবাদপত্রে ফাসঁ হওয়া তথ্য অনুযায়ী সারা বিশ্বে বাঘা বাঘা সাংবাদিকসহ মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবীদের মোবাইল ফোন হ্যাক করে তথ্য চুরির অভিযোগ উঠেছে ইসরাইলের তৈরী স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে। দ্য গার্ডিয়ান
ফাঁস হওয়া তালিকায় শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, অ্যাকাডেমিক, এনজিও কর্মী, সরকারি কর্মকর্তা, মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীরাও রয়েছেন। এই তালিকায় কাদের নম্বর আছে, তা পরে প্রকাশ করা হবে বলে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
[৩] অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও প্যারিসভিত্তিক অলাভজনক সংবাদ সংস্থা ফরবিডেন স্টোরিজ প্রথম ফাঁস হওয়া এই তালিকা হাতে পায়। এর পর তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে।
[৪] গার্ডিয়ানের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সারাবিশ্বের কর্তৃত্ববাদী সরকার প্রধানরা ইসরায়েলে তৈরি স্পাইওয়্যার পেগাসাস’র বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের স্মার্টফোনে আড়িপাতার অভিযোগ উঠেছে।
[৫] বিশ্বের ১৮০ সাংবাদিকের স্মার্টফোনে এই নজরদারি চালাচ্ছিল বলে সংবাদপত্রগুলো এই হ্যাকিংয়ের ঘটনা ফাঁস করেছে। এই তালিকায় রয়েছেন সম্পাদক, অনুসন্ধানী সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সাংবাদিকের নাম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেগাসাস ব্যবহার করে আইফোন ও অ্যানড্রয়েড ফোনের সব মেসেজ, ফটো, ই-মেইল, কল রেকর্ড বের করা যায়।
[৬] ফাঁস হওয়া একটি ডেটাবেইসে এই ফোন নম্বরগুলো প্রথমে পায় প্যারিসভিত্তিক সংস্থা ফরবিডেন স্টোরিজ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, পরে তারা গার্ডিয়ান, দ্য অয়্যারসহ ১৬টি সংবাদ মাধ্যমকে তা জানায়। তারা সবাই মিলে এই অনুসন্ধানের নাম দিয়েছে ‘পেগাসাস প্রজেক্ট’। বিডি নিউজ
[৭] যেখানে ফিনান্সিয়াল টাইমসের সম্পাদকের নম্বরও আছে। এ ছাড়া সিএনএন, নিউইয়র্ক টাইমস, ফ্রান্স ২৪, ইকোনমিস্ট, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, আল জাজিরা, ব্লুমবার্গ, এজেন্সি ফ্রান্স-প্রেসেস (এএফপি), আমেরিকা ভয়েস, এপি ও রয়টার্সের সাংবাদিকেরাও আছেন। আজকের পত্রিকা
[৮] এদিকে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনএসও বলে আসছিল যে, যেকোনো দেশের সরকার যেগুলো প্যাগাসাসকে লাইসেন্স দেয়, তারা কেবল গুরুতর অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়।
[৯] তবে সাম্প্রতিক এই ঘটনার পর এনএসও তার ক্লায়েন্টদের কার্যক্রম সম্পর্কে করা দাবি অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, অপব্যবহারের প্রত্যেকটি বিষয় তারা তদন্ত করবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
[১০] এ ছাড়া তারা বলেছে, সংস্থাটি জীবন রক্ষাকারী মিশনে রয়েছে। মিথ্যার ভিত্তিতে এটিকে অসম্মানিত করার যেকোনো প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পরও তারা বিশ্বস্ততার সাথে এই মিশন অপরিবর্তিতভাবে শেষ করবে।
সম্পাদনা: আখিরুজ্জামান সোহান