লিহান লিমা: [২] গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যদি গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ নিরবিচ্ছিন্নভাবে বাড়তে থাকে তবে ২০৮০ সাল নাগাদ বিশ্বের ৮’শ কোটির বেশি মানুষ ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে পড়বে। গার্ডিয়ান
[৩] এতে বলা হয়, ক্রমে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হবে। পূর্বাভাসে গবেষকরা বলেন, ১৯৭০-৯৯ সালের পরিসংখ্যানের তুলনায় বিশ্বের ৪৭০ কোটির বেশি মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে দুই শীর্ষ মশাবাহিত রোগের ঝুঁকিতে পড়বে। একই সময়ে বিশ্বের জনসংখ্যা ৪৫০ কোটি বৃদ্ধির অনুমানের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান দাঁড় করানো হয় এবং এতে বলা হয় ২১০০ সাল নাগাদ পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়বে ৩.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
[৪] লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের নেতৃত্বে এই গবেষণা দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, যদি নিঃসরণ বর্তমান হারে বাড়তে থাকে তবে বৈশ্বিক তাপমাত্রার প্রভাবে আগামী ৫০ বছরে ম্যালেরিয়া সংক্রমণের মৌসুম ১ মাসের বেশি ও ডেঙ্গু সংক্রমণের মৌসুম ৪ মাসের মতো বাড়তে পারে।
[৫] লন্ডন স্কুলের সহকারী অধ্যাপক এবং প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক ফিলিপ জে কলন গনজালেজ বলেছেন, ‘ নীতি-নির্ধারক এবং জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের উচিত এই সংক্রমণ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকা, বিশেষ করে যেসব অঞ্চলে উচ্চহারে নিঃসরণ ঘটছে সেখানে বড় প্রাদুর্ভাবের সম্ভাবনা রয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস করলে কয়েক লক্ষ মানুষকে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা যাবে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে রাখতে অবিরত কাজ করে যেতে হবে।’
[৬] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর ম্যালেরিয়ায় ৪ লাখের বেশি মানুষ মারা যায়, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। অন্যদিকে ডেঙ্গুর কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই অথচ বিশ্বে প্রতিবছর ১০ কোটি থেকে ৪০ কোটি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয় এবং ২০ হাজার প্রাণহানি ঘটে।
আপনার মতামত লিখুন :