আয়মান সাদিক: ধরা যাক, কোনো একটা বিষয়ে তোমার ফলাফল খুব খারাপ হয়েছে। ফলাফলের জন্য অনেক কথা শুনতে হচ্ছে। হয়তো তোমার প্রেজেন্টেশনের সময় কথা আটকে যাচ্ছে বারবার। কেউ কিছু বলছে না, কিন্তু নিজের কাছেই লজ্জা লাগছে খারাপ করার জন্য। কিংবা তোমার আশপাশে সবাই একটা জিনিস দ্রুত বুঝে ফেললেও তোমার বুঝতে একটু সময় লাগছে। এমন অবস্থায় অনেকেই ধরে নেয় যে সম্পূর্ণ দোষ তাদের নিজের। তাকে দিয়ে কিছুই হবে না। এমন যদি তুমিও ভেবে থাকো, তাহলে তোমাকে ২টি কথা বলতে চাই: [১] আইনস্টাইনের এই উক্তি হয়তো শুনেছো যে, ‘একটা মাছকে যদি বানরের মতো গাছে চড়ার দক্ষতা দিয়ে মূল্যায়ন করা হয়, তাহলে মাছটা জীবনেও গাছে উঠতে পারবে না। উল্টো নিজেকে আজীবন অযোগ্য হিসেবে ধরে নেবে’। এর মানে হচ্ছে, সবাইকে একইভাবে মূল্যায়ন করা যায় না। কেউ দ্রুত বুঝে, কেউ ধীরে, কেউ বই পড়ে বেশি বুঝে, কেউ ক্লাসের লেকচার শুনে বেশি বুঝে। তাই, কোনো কাজ না পারলে নিজেকে দোষ দেয়ার আগে একটু প্রশ্ন করে দেখো যে, তুমি যেভাবে ভালো করে শিখতে পারো, সেভাবে কি তোমাকে শেখানো হচ্ছে?
[২] গণিতে হয়তো তুমি কম নাম্বার পেয়েছো কিংবা ভোক্যাবুলারি মনে থাকছে না। এর মানে এই না যে তুমি কিছুই পারো না। জীবনের একটা সাময়িক অপারগতাকে টেনে হিঁচড়ে পুরো জীবনের ওপর ছড়িয়ে দেওয়া বোকামী। কোনো একটা নির্দিষ্ট বিষয় না পারতেই পারো। এর কারণ হতে পারে ভালো শিক্ষক পাওনি, পরিকল্পনা ঠিক ছিলো না, অলসতা করেছো, প্রক্রিয়া ঠিক ছিলো না। অনেক কারণই থাকতে পারে। কোনো কাজ না পারলে মুষড়ে না পড়ে কেন পারছো না সেই কারণটা বের করার চেষ্টা করবে সবসময়। অপারগতা সাময়িক ব্যাপার। কিন্তু, ভাগ্যের ওপর দোষ দেওয়া কিংবা একটা ভুলের জন্য নিজেকে দায়ি করে পুরো জীবনকেই ব্যর্থ ভাবা অযৌক্তিক। ফেসবুক থেকে