কামাল হোসেন: [২] পদ্মার ভয়াবহ তান্ডবে নদী তীরে থাকা ঘরবাড়ি গুলো নিমিষেই ডুবে যাচ্ছিল নদীতে, আত্মীয়, স্বজন যে যেখানে ছিল প্রত্যেকেই ছুটে এসে ঘর ও ঘরে থাকা আসবাবপত্র সরিয়ে নিচ্ছে। কারোই কথা বলার কোন সময় নেই। পদ্মার ভাঙনের সাথে তাল মিলিয়ে উঠতে পারছিল না তারা।
[৩] এসময় গোয়ালন্দ পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রাতুল আহমেদ সজল ও সাধারন সম্পাদক আকাশ সাহার নেতৃত্বে এক ঝাঁক উদ্যোমী তরুণ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্থ্যদের স্বজনদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দ্রæত সরিয়ে নেয় অন্তত অর্ধশত পরিবারের বসতঘরসহ আসবার পত্র।
[৪]ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের সদস্যরা জানান, পদ্মার ভাঙনে আমরা যখন দিশেহারা ঠিক তখনি কিছু অচেনা-অজানা ছেলেরা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করলো তা অকল্পনীয়। এই দঃসময়ে তাদের সহযোগিতায় আমরা আমাদের ঘরবাড়ি, আসবাব পত্র নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে আনতে পেরেছি। তা না হলে হয়ত বিলীন হওয়া ১০ পরিবারের মত আমরাও পদ্মায় বিলীন হয়ে যেতাম।
[৫] এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রাতুল আহমদে সজল জানান, পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনের কথা শুনে দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর দূর্দশা ও আর্তনাদে ভারী হয়ে ওঠে চারিপাশ। সাথে সাথেই সকলকে নিয়ে নেমে পড়ি তাদের বসতঘর ও আসবাবপত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে। সামান্য শ্রম দিয়ে সকল পরিবারের বসতঘর ও আসবাব পত্র রক্ষা করতে না পারলেও চরম ভাঙন ঝুঁকিতে থাকা কিছু পরিবারকে সহযোগিতা করে তাদের ঘরবাড়ি, আসবাব পত্র রক্ষা করেছে ছাত্রলীগ।
আপনার মতামত লিখুন :