মিরাজুল ইসলাম: ‘A man can be destroyed but not defeated...’ মেসি’র হাতে কোপার কাপটা শোভা না পেলেও হেমিংওয়ের এই কালজয়ী বাক্যটি লিখতাম আমি। এরপর ইতিহাসের পাতায় সেরা মহাবীরদের তালিকা খুঁজে নিয়ে লিওনেল মেসির নামটা তাঁদের সাথে মিলিয়ে নিতাম। মেসি ট্র্যাজিক বীর হতে গিয়েও ফিরে এলেন ইতিহাসের খাদের কিনারা থেকে। কার জীবনের সাথে সমিল মেসির বীরত্বগাঁথা? রাজা গিলগামেশ? নাকি দারিয়ুস! হেক্টর? নাকি বিজয়ী অথচ ভাগ্যহত একিলিস কিংবা ইডিপাস। দেবতাদের পরীক্ষায় পরীক্ষিত হারকিউলিস? নাকি বিপ্লবী প্রমিথিউস! সবকিছু জয় করেও অকালে চলে যাওয়া আলেকজাণ্ডার দি গ্রেট? নাকি নেপোলিয়ান! রোজারিও’র চে গ্যুভেরা? নাকি একই মহাদেশের সিমন দ্য বলিভার।
ফুটবল ইতিহাসের মহাকালে ডি স্টেফানো, পেলে, ইউসেবিও, ক্রুয়েফ, প্লাতিনি, জিকো, ম্যারাডোনা, জিদান, রোনালদিনহো অধ্যায় পেরিয়ে তৈরি হলো মেসির নিজস্ব সপ্তর্ষিমণ্ডল। জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যানে দেশ কিংবা ক্লাবের পক্ষে সকল অর্জন-ব্যর্থতার খতিয়ান সেই মহাকাশে স্থবির হয়ে গেছে। মেসি নিজেই এখন একক ধ্রুব মহাতারকা। সবশেষে ডি মারিয়ার অপূর্ব গোলটা দেখে অতীতের ব্যর্থতা ভুলে পল ভ্যালেরী’র কাছ থেকে ধার করে বলতে চাই, ‘Brothers, sorrowful lilies. I languish in Beauty ...’ এখন অপেক্ষা কাতার বিশ্বকাপের জন্য । লেখক ও চিকিৎসক