কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পশ্চিম ইউরোপ ও ইইউ) ফাইয়াজ মুরশিদ কাজীর দপ্তরে দেশটির ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেলকে তলব করা হয়।
[৩] গত বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘মানবাধিকার ও গণতন্ত্র রিপোর্ট ২০২০’ প্রকাশ করে। প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অধ্যায়ে কিছু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য থাকায় বাংলাদেশের তরফে হতাশা ব্যক্ত করে বলা হয়, এটি চরম বিভ্রান্তিকর।
[৪] বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘হাউজ অ্যারেস্ট’ রাখা নিয়ে ব্রিটেনের মানবাধিকার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা তথ্য জাভেদ প্যাটেলের নজরে এনে বলা হয়, খালেদা জিয়ার ভাইয়ের আবেদনের পর তার কারাদণ্ড স্থগিত করে গত বছরের মার্চে শর্ত স্বাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয় যে, খালেদা জিয়া বিদেশ যাবেন না, দেশে চিকিৎসা নেবেন। প্রথম অবস্থায় তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়, যা পরবর্তীতে দুই বার বাড়ানো হয়েছে।
[৫] ব্রিটেন যাতে বাংলাদেশ সরকার কিংবা সরকারি দল আওয়ামী লীগের বিষয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে এবং সরকারের দয়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কাছ থেকে বিষয়টি পরিষ্কার করে নেয় সে বিষয়টি হাইকমিশনারকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়।
[৬] রাষ্ট্রদূত সরকারের বক্তব্য আমলে নিয়ে জানান, উদ্বেগের বিষয়টি তিনি তার সরকারকে জানাবেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বকে যুক্তরাজ্য মূল্য দেয়। তিনি ইচ্ছা প্রকাশ করেন যে, মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে গঠনমূলক সংলাপ করতে তারা আগ্রহী।
[৭] প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অবস্থান প্রসঙ্গে যেভাবে বর্ণনা করা হয়েছে সেটি যেমন আন্তর্জাতিকভাবে ঠিক নয়, তেমনি বাংলাদেশের আইনেও স্বীকৃত নয় বলে অবহিত করা হয়।
[৮] ব্রিটেনের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেল বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়গুলো তার দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তুলে ধরবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আশ্বস্ত করেন এবং তিনি বাংলাদেশকে পরিপক্ক গণতন্ত্র হিসেবে অভিহিত করেন।