সমীরণ রায়: [২] রোববার এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে টলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টিক্যাব) আহ্বায়ক মুর্শিদুল হক বলেন, ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১’ মোতাবেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিকে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম বাবদ নেওয়া ২১৪ কোটি টাকা অবিলম্বে ফেরত দেওয়া অথবা পণ্য সরবরাহের দাবি করছি।
[৩] তিনি বলেন, গত ৪ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মাধ্যমে ডিজিটাল কমার্স পরিচালনায় স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা, জবাবদিহিতা, ভোক্তাদের আস্থা বৃদ্ধি ও অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে ‘জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ২০২০ (সংশোধিত ‘অনুচ্ছেদ ৩.৩.৬ অনুসারে ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১” প্রণয়ন করে গেজেট প্রকাশিত হয়।
[৪] তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১’ এর ৩.৩.২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘পণ্যের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করা হয়ে থাকলে ক্রেতা-বিক্রেতা একই শহরে অবস্থান করলে ক্রয়াদেশ গ্রহণের পরবর্তী সর্বোচ্চ পাঁচদিন এবং ভিন্ন শহরে বা গ্রামে অবস্থিত হলে সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দিতে হবে’। অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি ঢাকাসহ সারা দেশের গ্রাহকদের হাজার হাজার অর্ডার ইভ্যালিসহ বিভিন্ন ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান মাসের পর মাস ধরে ফেলে রেখেছে। ১-৬ মাস পর্যন্ত অপেক্ষার পরও গ্রাহকদের পণ্য বা অর্থ কিছুই ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিসে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টান্টা অপেক্ষা করেও কোন ফল মিলছে না।