সমীরণ রায়: [২] আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় বিএনপিকে এখন ফটোসেশনেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ও মানুষের পাশে আছে।
[৩] তিনি বলেন, করোনা সংকটে বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল এইভাবে জনগণের পাশে থাকেনি। দেশে অনেকগুলো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, এনজিও আছে। এনজিওগুলো দশজনকে কোনো কিছু দিয়ে সেটির ছবি তুলে সুন্দর ব্রুশিয়ার বানায়। সেটি আবার বিদেশে বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছে পাঠায়। তাদের কেউ কেউ টকশোতে গিয়ে বড় বড় কথা বলে। তাদের কাউকে এখন আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু তাদের সমালোচনার মুখ কিন্তু বন্ধ হয়নি।
[৪] হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির যে সমস্ত নেতাকর্মী কথা বলেন, তারা এখন কথা বলছে শুধু খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে। খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর কথা নিয়েই শুধু কথা বলছে। বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা আছে বলে মনে হয় না।
[৫] রোববার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও ত্রাণ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিভিন্ন জেলা-উপজেলার হাসপাতালে প্রতিনিধিদের মাধ্যমে উন্নতমানের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী, অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরণ করা হয়।
[৬] আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘রাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। করোনার শুরু থেকে আমাদের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে আছে, এখনো আছি।’
[৭] তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক নেতকর্মী জীবন দিয়েছে। আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হচ্ছে। সমস্যা নাই, এ কথা আমরা বলছি না। সমস্যা আছে। সেই সমস্যা মোকাবেলায় আমাদের সরকার কাজ করছে। আমরা দল হিসাবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কাজ করে যাচ্ছি।’
[৮] অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সফিক, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেলা সুলতানা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ উপ-কমিটির সদস্যরা।
আপনার মতামত লিখুন :