লিহান লিমা: [২] জাতিসংঘ পর্যটন সংস্থা (ইউএনডব্লিউটিও) এবং বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতিসংঘ সম্মেলন (আঙ্কটাড) এর প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারীর কারণে ২০২০-২১ সালে বিশ্বজুড়ে পর্যটন খাতকে ৪ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতি গুণতে হতে পারে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন না করায় বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতি গুনতে হয়েছে। এনডিটিভি
[৩] ইউএনডব্লিউটিও এর মহাসচিব জুরাব পোলোলিকাসভিলি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘লাখ লাখ মানুষের জীবিকার সঙ্গে পর্যটন ছড়িয়ে আছে, টিকাদান কর্মসূচির প্রসার এইসব মানুষের সুরক্ষা ও পর্যটন খাতের নিরাপদে অর্থনৈতিক খাতে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ করে দেবে। পর্যটন খাতের হাজারো চাকরি হারানো মানুষের জন্য এটি খুব প্রয়োজন।’
[৪] এই সময় তিনি বিশেষভাবে বলেন, বিশ্বের অনেক উন্নয়নশীল দেশ পর্যটনখাতের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে গত বছর অনেক দেশ অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ প্রত্যাহার করায় আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ হয়েছিলো। এতে ২০২০ সালে পর্যটন সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে ক্ষতি হয়েছে ২.৪ ট্রিলিয়ন ডলারের। ২০২১ সালেও একই পরিমাণ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এর পুরোটাই নির্ভর করবে টিকাদান কর্মসূচির ওপর।
[৫] বিশ্বজুড়ে টিকাদানে বৈষম্য স্পষ্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। কোনো দেশ জনসংখ্যার ৬০ শতাংশকে টিকা দিয়েছে আবার কেউ ১ শতাংশকেও টিকার আওতায় আনতে পারে নি। কম টিকাদানের হার সম্পন্ন দেশগুলো সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এবং এগুলোর বেশিরভাগই পর্যটন খাতের ওপর নির্ভরশীল উন্নয়নশীল দেশ। বিশ্বের মোট জিডিপি লোকসানের ৬০ভাগই এই দেশগুলোতে হয়েছে।
[৬] যুক্তরাষ্ট্রের মতো উচ্চহারে টিকাদান করতে পারা দেশগুলোতে পর্যটন খাতে পুনরুদ্ধার তাড়াতাড়ি হলেও ইউএনডব্লিউটিও বলেছে, ২০২৩ সালের পূর্বে বৈশ্বিক পর্যটন মহামারী পূর্বাবস্থায় ফিরবে না।
[৭] আঙ্কটাডের পূর্বাভাসে বলা হয়, ২০১৯ সালের চাইতে এ বছর বৈশ্বিক পর্যটন ৬৩-৭৫ভাগ হ্রাস পেতে পারে যাতে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ হতে পারে ১.৭ ট্রিলিয়ন থেকে ২.৪ ট্রিলিয়ন ডলার।