কামাল হোসেন:[২] বৃহম্পতিবার থেকে সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন। চলমান কঠোর বিধিনিষেধে দূরপাল্লাসহ সব ধরণের গণ পরিবহন বন্ধ থাকার পরও নানাভাবে রাজধানী ঢাকা ছাড়ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমূখো মানুষ। পথে পথে বাধা, বৈরী আবহাওয়া ও করোনা সংক্রমণের চরম ঝুঁকিও তাদের দমাতে পারছে না। এতে পাটুরিয়া হয়ে ফেরিতে গাদাগাদি করে দৌলতদিয়া প্রান্তে এসে নামছে মানুষ।
[৩] এদিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৩টি ফেরি চলাচল করায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যক্তিগত ও ছোট ছোট যানবাহনে করে ঘাটে এসে ফেরিতে খুব সহজেই ঢাকামূখী হচ্ছে মানূষ।এসময় উভয়মূখী যাতায়াতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব তো দুরের কথা অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক পর্যন্ত ছিল না। বুধবার (৩০ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
[৪] এসময় কথা হয় ঢাকা থেকে আসা গৃহবধু আসমার সাথে যাবেন তিনি বলেন, কঠোর বিধিনিেিষধে ঢাকায় আশেপাশের কোথাও যাওয়ার নেই কোন সুযোগ, এভাবে রুমের মধ্যে বন্ধী অবস্থায় থেকে দম বন্ধ হয়ে আসছিল। তাই স্বামী সন্তানদের নিয়ে মাগুরায় গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি অন্তত কয়েকটা সেখানে শান্তিতে কাটানো যাবে।
[৫] এছাড়াও পথে পথে নানা ভোগান্তির শিকার হয়ে বিকল্প উপায়ে যানবাহনে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে গাদাগাদি করে ফেরিতে গিয়ে উঠছে ঢাকামূখী মানুষ।বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক ফিরোজ শেখ জানান, এ রুটে ১৩টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করায় দৌলতদিয়া ঘাটে কোন যানবাহন ফেরির অপেক্ষায় নেই। তবে পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ফেরিগুলোতে যানবাহনের সাথে সাধারন যাত্রীর চাপ আছে বলে তিনি জানান।