কামাল হোসেন:[২] কঠোর লকডাউন দির্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কায় দেশের বৃহত্তম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঢাকা ও ঘরমূখো মানুষ করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি, দূরপাল্লারবাস বন্ধ থাকায় পথের দূর্ভোগ ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। কিন্তু যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থবিধি মানা তো দুরের কথা অধিকাংশ মানুষের মূখে মাস্ক পর্যন্ত নেই। এতে করে সরকারের করোনা সংক্রমনরোধে কঠোর অবস্থান ভেস্তে যেতে বসেছে।
[৩] সরেজমিন বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দুপুরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে দেখা যায়, দুরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় ঢাকা ও আশেপাশের জেলার শ্রমজীবী মানুষ মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মিনি পিকআপসহ বিভিন্ন ছোট ছোট যানবাহনে পাটুরিয়া ঘাটে এসে ফেরিতে করে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ভিড় করছে। এ ছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার মানুষ মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মটরসাইকেল, মাহিন্দ্র, অটোরিকশায় করে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে নামছেন।
[৪] উভয় ফেরিঘাট পর্যন্ত আসতে সকলকেই গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি, পথের দূর্ভোগ ও বুষ্টির বাধা দূর্ভোগকে নিয়ে গেছে চরম পর্যায়ে। তবে প্রতিটি ফেরিঘাটেই পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় সরাসরি ফেরিতে উঠতে এসব মানুষকে কোনো বেগ পেতে হচ্ছে না।
[৫] এসময় ঢাকাগামী সিএনজি চালক আশরাফ জানান, সামনে ঈদ বাড়ি বসে থাকলে তো আর পেট চলবে না তাই ঢাকা যাচ্ছি।যশোর গামী সাভার পোশাক কারখানার শ্রমিক মজিবার প্রামানিক জানান, লকডাউন আরো বাড়তে পারে তাছাড়া গতবারের দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে একটু আগে-ভাগেই পরিবার-পরিজনকে বাড়িতে রেখে আসতে যাচ্ছি, অতিরিক্ত ভাড়া, বৃষ্টি ভোগান্তিকে চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এখন ঘাট থেকে নির্দিধায় যেতে পারলেই হলো।
[৬] এ প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক ফিরোজ শেখ জানান, বর্তমানে এ নৌরুটে ১৩টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। যার ফলে এসময় ফেরিতে যাত্রীরা উঠে যাচ্ছে এতে আমাদের কিছুই করার থাকছে না।
আপনার মতামত লিখুন :