হুমায়ূন আজাদ একবার বলেছেন, লোকে অামাকে সাহসী বলে, সত্য কথা বলি এ জন্য। মানুষ সত্য কথা বলবে এতে সাহসের কি আছে? মানুষ এখন সচরাচর সত্য উচ্চারণ করে না বলে যে কয়জন বলে তাদের সাহসী বলে। শিক্ষক মাত্রই বই পড়বেন, দরকারি বই, অাউট বই ( আমাদের ছেলেবেলা সিলেবাসের বাইরের বইকে আউট বই বলত), ছাত্রদের জন্য, নিজের জন্য বই পড়বেন এটাই স্বাভাবিক। এটা ঘটা করে বলার কি আছে? বলার আছে।
বিভিন্ন পেশাজীবীর মধ্যে বই পড়ার প্রবণতা একেবারে কমে গেছে, শিক্ষকেরাও সাধারণভাবে এর বাইরে নয়। তবে আমাদের শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেকে আছেন যারা ব্যক্তিগতভাবে প্রচুর পড়ালেখা করেন,সৃজনশীল তাঁরা। কিন্তু শিক্ষারথী, অভিভাবকদের যুক্ত করে কোন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা নিয়মিত বই পড়ছেন এমন খবর কয়দিন আগেও জানা ছিল না।
আর এই কাজটাই করে আসছেন ণা.গঞ্জের বেইলি স্কুলের শিক্ষকেরা।
তারা বলছেন 'বর্তমান সময়ের সাথে নিজেকে update রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের আগামীর উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের ও সমৃদ্ধ হতেই হবে। আর এই সমৃদ্ধির জন্য বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। এই প্রয়োজনকে জরুরী বিবেচনায় বেইলী স্কুলের নিয়মিত আয়োজন শিক্ষক - শিক্ষার্থী - অভিভাবক বই পড়া কর্মসূচি। অনেক অনেক হতাশা ও নেতিবাচক খবরের মধ্যে এ ধরনের উদ্যোগ অামাদের আশাবাদী করে তোলে নিশ্চয়। বেইলি স্কুলের শিক্ষকদের জন্য শুভকামনা। (ফেইসবুক থেকে)