শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৪ জুন, ২০২১, ০১:১৭ রাত
আপডেট : ১৪ জুন, ২০২১, ০১:১৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আরিফুজ্জামান তুহিন: সাকিব বিপ্লব করছেন না, বিজনেস্ করছেন; বিদেশে বিনিয়োগটা কীভাবে হলো, সেটাই বড় প্রশ্ন!

আরিফুজ্জামান তুহিন : ‘সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের প্রাণ’- বিজ্ঞাপনটি সবাই দেখেছেন। সেই বাংলাদেশের প্রাণ লোকটি যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি কিনেছেন, সৌদি আরবের একাধিক হোটেল ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। তিনি বিদেশে বিভিন্ন লীগ ও ক্লাবে খেলেছেন; সেসব টাকা দেশে আনেননি। এসব তথ্য ১৩ জুন ২০২১ সালে দৈনিক বণিকবার্তা ছেপেছে।

যদি টাকা দেশে না আনেন, তাহলে সেটা কি মানিলন্ডারিং বা মুদ্রা পাচার হয়েছে? কী বলেন সাকিব ভক্তরা? কারণ বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, বিদেশে বিনিয়োগ করার আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমতি নিতে হয়, সেটা সাকিব নিয়েছেন, এমনটা জানা যায়নি। বিদেশ থেকে নোবেল উপহারের অর্থ ট্যাক্স ছাড়া এনে কী সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন  ড. মুহাম্মদ ইউনূস, নিশ্চয়ই আপনাদের মনে আছে। মাগুরাতে তিনি যে কুচের খামার করেছিলেন, সেখানকার জমির মালিকদের জমির ভাড়া দেননি, শ্রমিকদের দেননি বেতন। শ্রমিকদের বিষয়ে সাকিবের মনোভাবটা পরিষ্কার।

২০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রস্তাব দিয়েছেন। যেসব ব্যবসা করছেন তার পার্টনারের মধ্যে চরম বিতর্কিত লোকেরাও রয়েছেন। এই যে একের পর এক বিজনেস্ লোকসানের পরও তিনি করছেন, সেটাই বেশ ইন্টারেস্টিং। এরকম বিজনেস্ করা হয় মূলত কালো টাকা সাদা করতে। এ ধরনের বিসনেসে লাভ দরকার নেই, লোকসান হলেই ভালো। ঢাকায় প্রচুর রেস্টুরেন্ট দেখবেন চলে না, কিন্তু টিকে আছে। কেন? খোঁজ নেন, মালিক কালো টাকা সাদা করছে।

শেয়ার ট্রেডিংয়ের ব্রোকারেজ হাউজ খোলার অনুমতি তারাই পায় যারা সরকারের ঘনিষ্ঠ। বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিক কারা হয় ভাই দেশে? একটা ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র বছরে অন্তত ২৩০ কোটি পাবে যদি কেন্দ্রটি একদিনও না বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এর নাম কেন্দ্র ভাড়া বা ক্যাপাসিটি চার্জ। এবার বোঝা গেলো সাকিব আসলে কোনো বিপ্লব করছেন না। ওয়েল ডান বণিকবার্তা।

লেখক : সাংবাদিক। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়