ডা. রাজীব ঘোষ: বয়স হলেই ডাক্তাররা কোলেস্টেরলের ভয় দেখান। রক্তে কোলেস্টেরল বাড়লে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকির কথা বলে খাদ্যাভ্যাসে নানা রকম পরিবর্তনের পরামর্শ দেন। এই লিখাতে আমরা খুব সহজ ভাবে কোলেস্টেরল সম্পর্কে কিছু জানবো।
কোলেস্টেরল একধরণের চর্বি জাতীয় পদার্থ। কেবল মাত্র প্রাণী কোষই এই কোলেস্টেরল তৈরী করতে পারে। উদ্ভিদ কোলেস্টেরল তৈরী করতে পারে না। কাজেই সয়াবিন তেল, নারকেল তেল বা সরিষার তেলে কোলেস্টেরল থাকার প্রশ্নই আসে না। এই উদ্ভিজ্জ তেল গুলোর ভালো খারাপের সাথে কোলেস্টেরল থাকার কোন সম্পর্ক নেই। কাজেই, কোলেস্টেরল মুক্ত সয়াবিন তেলের চটকদার বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্ত হবেন না।
মানুষের দেহ কোষও কোলেস্টেরল তৈরী করে। সবচেয়ে বেশী কোলেস্টেরল তৈরী হয় লিভারে, অন্ত্রের কোষে এবং কিছু গ্রন্থিতে। আবার খাদ্যের সাথেও কোলেস্টেরল আমাদের শরীরে জমে। খাদ্যের মধ্যে প্রাণীজ চর্বি, লাল মাংস, ডিমের কুসুম, প্রাণীর মগজ, ঘি, মাখন, ছানাতে কোলেস্টেরল বেশী থাকে।
কোলেস্টেরল কি কাজে লাগে?
প্রাণী কোষের আবরণী তৈরীতে কোলেস্টেরল লাগে, লাগে কিছু হরমোন তৈরীতে, ভিটামিন ডি তৈরীতে। পিত্তরসের একটা উপাদানও কোলেস্টেরল।
শরীরে তৈরী কোলেস্টেরল এবং খাদ্যের কোলেস্টেরলের অল্প কিছুটা মলের সাথে বের হয়ে যায় কিন্তু অধিকাংশই শরীরে জমতে থাকে।
রক্তনালীর গায়ে জমা কোলেস্টেরল রক্তনালীকে সংকুচিত করে ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক সহ নানা রকম জটিলতা তৈরী হয়।
এই জন্যই ডাক্তাররা কোলেস্টেরল যুক্ত খাদ্য গ্রহণে নিরুৎসাহিত করেন। যাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশী তাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের সাথে সাথে শরীরে যাতে কোলেস্টেরল কম তৈরী হয় সেই জন্য ঔষধ দেন।
কাজেই সুস্হ থাকতে হলে আপনার রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
ধন্যবাদ
গইইঝ,ঋঈচঝ, গঈচঝ, গউ
সহকারী অধ্যাপক