ফেসবুক থেকে: বুনুয়েল আর তারকোভস্কি বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের প্রিয় দুই পরিচালক— এ কথা আমরা জানতে পারি তাঁর ‘কীভাবে ছবি করি, কীভাবে ছবি হয়’ বইটি থেকে। এ কারণেই কি ইমেজের ইতিহাসগত পটভূমি তাঁর চলচ্চিত্রে বারবার নিরীক্ষার ধর্মে এসেছে? তাঁর সিনেমাগুলোর সঙ্গে যদি তাঁর লেখাগুলোও দ্রষ্টব্যভুক্ত করি, তাহলে কি এই কথা অনস্বীকার্য নয় যে তিনি নিজের ছবির নির্মাণপদ্ধতিও আমাদের জানিয়ে গেছেন। ‘লাল দরজা’ (১৯৯৭) ছবিটির প্রথম দৃশ্যটি কেনো ২৬ ফ্রেমে তুলেছিলেন, কোথায় কখন ১৮ মিমি কিংবা ৫০ মিমি লেন্স ব্যবহার করেছেন— তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা তিনি বিভিন্ন লেখায় দিয়ে গেছেন। ফলে তাঁর ছবিগুলো, অন্তত আমার মতো সাধারণ দর্শকের বিচারে, ওয়াইড থেকে টেলি পর্যন্ত লেন্স ব্যবহারের একটি পর্যটনযাত্রা।
আর হচ্ছে রঙ— বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের রঙ— সেলুলয়েডে রঙের এমন গভীর প্রণয়, শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, রায়মশাইও আমাদের দেখাতে পারেননি।
এদ্দিন খেয়াল করিনি। আজ বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের প্রয়াণসংবাদটি শুনে ‘উত্তরা’ (২০০০) ছবিটি আবার দেখলাম। আসলে জীবন তো একটি ছোট্ট লিরিক। এই কথা চলচ্চিত্রনির্মাতারা সেলুলয়েডে তুলে আনেন, কিন্তু বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত যেনো এঁকে দেখিয়েছেন— প্রতিটি ওয়াউড অ্যাঙ্গেল কী নবীন নীলিমা।
জীবন আসলেই একটি ছোট্ট লিরিক। মৃত্যু তাকে অনুবাদ করে মাত্র।