জেরিন আহমেদ: [২] রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন রারি শিক্ষার্থীরা।
[৩] সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনা মহামারীর কারণে প্রায় ১৫ মাস বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ আছে। দীর্ঘ সময় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা । এছাড়া সেশন জটে পড়ে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। অনেকে ছিটকে পড়ছে শিক্ষা জীবন থেকে।
[৩] শিক্ষার্থীদের এই কঠিন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সম্পূর্ণ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার কোনো স্বদিচ্ছা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি না। যার ফলে ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছি।
[৪] গত ২ জুন থেকে ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে তাদের দাবি ছিলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে হল ও ক্যাম্পাস খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু , সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ক্লাশ শেষ করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন ইয়ারের পরীক্ষা নিতে হবে। এছাড়া হল খুলে স্থগিত পরীক্ষাগুলো নিতে হবে।
[৫] কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবি উপেক্ষা করে গত ৩ জুন নিজেদের মতো করে মনগড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে দমানোর জন্য কোনো রকম পরিকল্পনা ছাড়াই স্থগিত পরীক্ষাগুলো এবং ২০২০ সালের পরীক্ষাগুলো নেওয়ার তারিখ ঘোষণা করেছে ।
[৬] এদিকে হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাবি প্রশাসন। তারা পরীক্ষার তারিখ দিলেও কোনো প্রক্রিয়ায় পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হবে তার কোনো রূপরেখা প্রদান করেনি। তাদের এ সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ফেলেছে। মাস কয়েক আগেও তাদের এমন সিদ্ধান্তের কারণে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছিল। প্রশাসনের এমন হঠকারী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
[৮] আগামী ১০ দিনের মধ্যেই আমাদের সামনে একটি পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা হাজির করতে হবে। নইলে আগামী ১৭ তারিখ থেকে আমরা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।